ওয়াশিংটন: অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের সরকারি মদতদাতা রাষ্ট্র তকমা দেওয়ার দাবিতে পেশ হওয়া অনলাইন পিটিশনটি। হোয়াইট হাউস থেকে পিটিশনটির ব্যাপারে জবাব, প্রতিক্রিয়া পেতে গেলে দরকার ৩০দিনে এক লক্ষ সই। ২১ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে পিটিশনটি তুলে দিয়েছেন এক ব্যক্তি, যিনি নিজের নামের জায়গায় সংক্ষেপে লিখেছেন ‘আরজি’। ৩০ দিন লাগেনি, এক লক্ষ সইয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহের কম সময়েই। পিটিশনের পক্ষে সমর্থনের ঢল নেমেছে। দু সপ্তাহও হয়নি, তার মধ্যেই ওবামা প্রশাসনের জবাব পেতে প্রয়োজনীয় টার্গেটের পাঁচগুণ অর্থাত্ ৫ লক্ষ সই পড়ে গিয়েছে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার দাবিসম্বলিত পিটিশনের অনুকূলে। পিটিশনকারীর প্রত্যাশা, ওবামা প্রশাসন ৬০ দিনের মধ্যে সাড়া দেবে।

তবে আরও আরও বেশি সই সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছেন  ‘উই দি পিপল আস্ক দি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন টু ডিক্লেয়ার পাকিস্তান স্টেট স্পনসর অব টেররিজম’ প্রস্তাবের সমর্থকরা। দশ লক্ষ সই সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা তাঁদের। টার্গেট পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না, বলছেন পিটিশনের সঙ্গে যুক্ত জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অঞ্জু প্রীত। তিনি বলেছেন,  এখনই  ব্যবস্থা নেওয়ার সময়। হোয়াইট হাউসে পিটিশনটি সই করতে সবাইকে হাত মেলাতে হবে। যদি মনে হয়, সন্ত্রাসবাদে নয়, উন্নয়নের পিছনে আপনার অর্থ খরচ হওয়া দরকার, তাহলে আপনার অন্তত ১০ বন্ধু, পরিবারকে ট্যাগ করুন। ২১ অক্টোবর পর্যন্ত খোলা থাকছে পিটিশনটি। গত ২৪ ঘণ্টায় এক লক্ষ সই পড়েছে। এভাবে চললে ১০ লক্ষ সই পড়ে যাবে অচিরেই।

আরজি-র তৈরি করা পিটিশনে বলা হয়েছে, এই পিটিশন আমেরিকা, ভারত ও আরও অনেক দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ যারা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদে লাগাতার মার খাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উদ্যোগেই চালু হয়েছে হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে ‘উই দি পিপল’ শীর্ষক অনলাইন পিটিশন। এর মাধ্যমেই কোনও বিশেষ ইস্যুতে প্রশাসনের সামনে নিজেদের মত, ক্ষোভ-বিক্ষোভ জানানোর সুযোগ পান মার্কিন নাগরিকরা।