জেনিভা:গোটা বিশ্ব লড়ছে করোনার সঙ্গে। নিউইয়র্কে আবার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ হাজির। ফের লকডাউনের বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়ে দিল,ইতিমধ্যে  গোটা বিশ্বে প্রতি ১০জনের মধ্যে ১ জন করোনায় সংক্রমিত হয়ে থাকতে  পারেন। এবং এখনও বড় বিপদ কাটেনি।
করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। সংক্রমণে রাশ টানা যাচ্ছে না। সামনেই আবার উৎসবের মরশুম। ফলে ভারতের অবস্থায় বা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল রায়ান জানিয়েছেন সোমবারের পরিসংখ্যান ধরলে বলা যায়, বিশ্বের প্রতি দশজনের মধ্যে একজন ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমিত হয়েছে। সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তার চেয়েও ২০ গুণ বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে বিশ্বজুড়ে মোট প্রায় ৭৬০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ড. রায়ানের অনুমান অনুসারে, এখনও পর্যন্ত ৭৬ কোটি করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। বর্তমানে পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন কোটি। অনেক বিশেষজ্ঞই রায়ানের এই মূল্যায়ণের সঙ্গে সহমত। তাঁদের বক্তব্য, যত জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়েছে,বাস্তবে আক্রান্তর সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি।
জেনেভায় হু-র সদর দফতরে ৩৪ সদস্যের বোর্ডের সামনে বক্তব্য রাখার সময়ে রায়ান জানিয়েছেন, দেশ ভেদে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যায় হয়তো তফাৎ হতে পারে। কিন্তু মোদ্দা কথা হল গোটা বিশ্বের একটা বড় অংশের মানুষ কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
জনস হপকিন্স করোনা ভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য বলছে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু হয়েছে এক মিলিয়নের বেশি মানুষের। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা সোমবার ছুঁয়েছে ৩৫ মিলিয়ন।
ডাঃ রায়ান আরও বলেছিলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার করোনার ব্যাপক হারে বেড়েছে। যেখানে ইউরোপ এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে করোনায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষ হারিয়েছেন বলে খবর। একইসঙ্গে, আফ্রিকা ও পশ্চিম প্রদেশে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। রায়ান সতর্ক করেছেন, যে হেতু অতিমারির এখনই দূর হচ্ছে না, তাই বিশ্ব এখন আগের চেয়ে আরও সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিধি অবলম্বন করেই এই অতিমারি বিপদের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হতে হবে বলে মনে করেন তিনি। মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো সতর্কতামূলক ব্যবস্থায় জীবন রক্ষা করা যেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্রুত করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, সেইসঙ্গে সময়মতো চিকিৎসা এই মারণ ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচাতে পারে।