সিঙ্গাপুর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে শুধু খাবার ও বুলেটপ্রুফ লিমুজিনই নয়, বহনযোগ্য শৌচাগারও নিয়ে যান উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন।


নিজস্ব শৌচাগার নেওয়ার কারণ, কী? উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর এক প্রাক্তন আধিকারিক জানিয়েছেন, যেখানেই যান, সঙ্গে করে নিজস্ব শৌচাগার নিয়ে যান কিম। কারণ, তাঁর আশঙ্কা থাকে, শত্রুরা বা বিরোধীরা তাঁর মল পরীক্ষা করে স্বাস্থ্যের বিষয়ে খবর নিতে পারে। যদি কেউ খবর পায় তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা ভাল নয়, তাহলে দেশে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ভাবমূর্তির ক্ষতি পারে। শুধু সেটাই নয়, তিনি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে। এমনকী, উত্তরসূরি নিয়েও জল্পনা তৈরি হতে পারে। নিজেকে ক্ষমতাবান নেতা হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন কিম। তিনি সারা দেশে কর্তৃত্ব বিস্তার করেছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি এমন কিছু করতে নারাজ, যাতে ক্ষমতা হারানোর ন্যূনতম আশঙ্কা থাকে।

একনায়ক কিম সবসময়ই ক্ষমতা হারানো এবং খুন হওয়ার আশঙ্কায় ভোগেন। ২০১১ সালে বাবার বদলে দেশের ক্ষমতা পাওয়ার পর এই প্রথম তিনি আন্তর্জাতিক উড়ানে চড়লেন। ৩২ বছর পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার কোনও নেতা বিদেশে গেলেন। চিন ছাড়া অন্য কোনও দেশকে বিশ্বাস করেন না কিম। সেই কারণেই সম্ভাব্য আক্রমণ এড়ানোর জন্য যাবতীয় সতর্কবার্তা নিয়ে সিঙ্গাপুরে যান তিনি।