কাঠমাণ্ডু: খারাপ আবহাওয়ার কারণে ধৌলাগিরি শৃঙ্গ থেকে বৃহস্পতিবারও উদ্ধার করা গেল না রাজীব ভট্টাচার্যর দেহ। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে দেহ না নিয়েই বেসক্যাম্পে ফিরে যায় চপার। অন্যদিকে, নিখোঁজ গৌতম ঘোষ এবং পরেশ নাথের খোঁজে এভারেস্টের ক্যাম্প থ্রি ও ফোরে তল্লাশি চলে। নেপাল প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, দেহ উদ্ধারের আগে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হবে না।
সময় ২৯ মে পর্যন্ত। তার মধ্যেই বরফঢাকা ২ আট-হাজারি শৃঙ্গ থেকে নামিয়ে আনতে হবে মৃত দুই বাঙালি পর্বতারোহীর দেহ। হদিশ পেতে হবে নিখোঁজ দু’জনের। কিন্তু, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেই কাজে কোনও সাফল্য আসেনি। আপ্রাণ চেষ্টায় বারবার বাধ সেধেছে প্রতিকূল আবহাওয়া।
নেপাল প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজীব ভট্টাচার্যর দেহ কোথায় রয়েছে, তা চিহ্নিত করা গিয়েছে। জায়গাটা ধৌলাগিরি শৃঙ্গের ক্যাম্প ওয়ান এবং ক্যাম্প টুর মাঝখানে। রাজীবের দেহ আনার জন্য বৃহস্পতিবার চপার পাঠানো হয়। কিন্তু, খারাপ আবহাওয়ার জন্য চপার ক্যাম্প ওয়ানের কাছে নামতেই পারেনি। দেহ না নিয়েই ফিরে আসে। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজীব ভট্টাচার্যর দেহ আনতে শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় ফের চপার পাঠানো হবে।

প্রতিকূল আবহাওয়া, এখনও উদ্ধার হয়নি রাজীব ভট্টাচার্যর দেহ


কার্যত এক অবস্থা এভারেস্টেও। সেখানে সুভাষ পালের দেহ কোথায় রয়েছে, চিহ্নিত করা গেলেও, তা উদ্ধার করা যায়নি। নেপাল প্রশাসন সূত্রে খবর, এভারেস্টের জেনিফার পিকে ৭,৪০০ মিটার উচ্চতায় এভারেস্টজয়ী সুভাষের দেহ রয়েছে। সেখান থেকে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
নিখোঁজ দুই অভিযাত্রী ব্যারাকপুরের গৌতম ঘোষ এবং দুর্গাপুরের পরেশ নাথের কোনও হদিশ এখনও মেলেনি। তবে, নেপাল সরকার জানিয়েছে, দেহ না মেলা পর্যন্ত তারা কাউকে মৃত ঘোষণা করা হচ্ছে না।
কবে একটা খবর আসবে, দুর্গাপুরে সেই অপেক্ষায় বসে পরেশ নাথের পরিবার। তবে এই উৎকণ্ঠার মধ্যেও তাঁর দশ বছরের ছেলে এদিন জানিয়েছে, বাবার মতো সে-ও পর্বতারোহী হতে চায়। এভারেস্ট জয় করতে চায়।
নেপালে আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, শুক্রবার আবহাওয়া ভাল থাকতে পারে। তবে এভারেস্ট অভিযান খোলা থাকবে ২৯ মে পর্যন্ত। তারপর এই রাস্তা বন্ধ কবে দেওয়া হবে। এখন তার মধ্যে নিহত দুই পর্বতারোহীর দেহ আনা সম্ভব হয় কিনা এবং নিখোঁজ দু’জনের হদিশ মেলে কিনা, সেই অপেক্ষাতেই বসে তাঁদের পরিবার।