ইসলামাবাদ: কাশ্মীর প্রসঙ্গে ফের একবার চড়া সুরে হুঁশিয়ারি দিলেন ইমরান খান। তবে তাঁর হুঁশিয়ারির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ভারত নয়, বরং বলা ভাল গোটা বিশ্ব, বিশেষত মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকেও সতর্ক করে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই প্রবল বিরোধিতার সুর পাক প্রধানমন্ত্রীর গলায়। তবে বহির্বিশ্বের সমর্থন পায়নি পাকিস্তান। বরং আমেরিকার মতো শক্তিধর দেশও এটাকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসাবে বর্ণনা করেছে। যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইমরান।

সোমবার জি-সেভেন সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদী-ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈঠক হয়। দুই রাষ্ট্রনায়কই ছিলেন খোশমেজাজে। দুজনে খুনসুটিও করেন। যা ভারত-আমেরিকা মজবুত সম্পর্কের ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে, ইমরানের হুঁশিয়ারি মোদী-ট্রাম্প বৈঠকের পরেই।

ইমরান বলেছেন, ‘সংবাদপত্রে পড়েছি ইসলামিক রাষ্টগুলো কাশ্মীরের পাশে দাঁড়াচ্ছে না বলে মানুষ হতাশ। আমি বলব, হতাশ হবেন না। অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য যদি কোনও দেশ এই প্রসঙ্গে না ঢুকতে চায়, একদিন তাদের ঢুকতেই হবে।’

নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীরের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা তুলে নিয়ে ঐতিহাসিক ভুল করেছেন বলেও মন্তব্য ইমরানের। পাক প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বলে আগেও অভিযোগ করেছিল ভারত। সোমবার ইমরান যেন সেই অভিযোগকেই স্বীকৃতি দিলেন। ইমরান বলেন, ‘বড় দেশগুলো কি শুধু নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থের কথাই ভাববে? ওদের মনে রাখা উচিত যে, দুই দেশই (ভারত ও পাকিস্তান) পরমাণু শক্তিধর। পরমাণু যুদ্ধ হলে কেউই জয়ী হবে না। আর সেটা হলে শুধু এই উপমহাদেশই নয়, গোটা বিশ্ব তার ফল ভোগ করবে। এবার আন্তর্জাতিক মহল ঠিক করুক কী করবে।’

ভারত বিশ্বমঞ্চে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করছে যে, পাকিস্তান বারবার যুদ্ধের কথা বলেও পরিস্থিতি মোটেও অতটা জটিল হয়নি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মহল মনে করে না যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে। এটা মনোযোগ ঘোরানোর একটা কৌশল। পাকিস্তানের সময় হয়েছে সত্যি স্বীকার করার এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানো বন্ধ করার।’