কলম্বো: কলম্বোয় সাবমেরিন নোঙর করার জন্য চিনের অনুরোধ খারিজ করল শ্রীলঙ্কা। গতকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দুই দিনের শ্রীলঙ্কা সফর শুরু হওয়ার দিনই এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। শ্রীলঙ্কার এই প্রত্যাখ্যান চিনের কাছে বড়সড় কূটনৈতিক ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।


২০১৪-র অক্টোবরে কলম্বোয় চিনের সাবমেরিন নোঙর করার অনুমতি দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।এর তীব্র বিরোধিতা করেছিল ভারত। প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কায় চিনের এই তত্পরতা আদৌ ভালোভাবে নেয়নি ভারত।

শ্রীলঙ্কা সরকারের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, চলতি মাসে চিন তাদের একটি সাবমেরিন নোঙর করার অনুমতি চেয়েছে। কিন্তু সেই অনুরোধ খারিজ করা হয়েছে। ভারতের আপত্তির কথা মাথায় রেখে শ্রীলঙ্কা তাদের বন্দরে চিনকে এখন সাবমেরিন নোঙর করার অনুমতি দেবে না। বিষয়টির সংবেদনশীলতার কথা মাথায় রেখে ওই আধিকারিক নিজের নাম জানাতে অস্বীকার করেছেন।

অন্যদিকে, দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেছেন, চলতি মাসে চিনের সাবমেরিন নোঙর করার অনুরোধ নাকচ করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুরোধ এলে কী করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। তিনি বলেছেন, চিনের পক্ষ থেকে আগামী ১৬ মে সাবমেরিন নোঙর করার অনুরোধ করা হয়।

কলম্বোয় চিনের দূতাবাসের পক্ষ থেকেও শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষের কাছে সাবমেরিনের জন্য বন্দর ব্যবহারের জন্য অনুরোধ জানানোর কথা স্বীকার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জবাব এখনও পাওয়া যায়নি বলে চিনের দূতাবাস জানিয়েছে।

বিগত কয়েক বছরে শ্রীলঙ্কা প্রচুর পরিমাণ লগ্নি করেছে চিন। বিমানবন্দর, রাস্তাঘাট, রেলওয়ে, বন্দর প্রভৃতি প্রকল্পে তহবিল জোগানোর কাজ করেছে বেজিং। বরাবরই শ্রীলঙ্কার ঘনিষ্ট আর্থিক সহযোগী ভারত। শ্রীলঙ্কার বন্দরগুলির ৭০ শতাংশ পণ্যই আদানপ্রদান হয় ভারতের সঙ্গে। ভারতের ওপর শ্রীলঙ্কার আর্থিক নির্ভরতার ভিত দুর্বল করতেই চিন এভাবে তহবিল নিয়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু মোদীর সফরের মধ্যে শ্রীলঙ্কার সাবমেরিন নোঙরের অনুরোধ খারিজে চিন বড়সড় ধাক্কা খেল বলেই মনে করা হচ্ছে।