কানেক্টিকাট:  কর্কট রোগ, এই মারণ ব্যাধি যাঁর শরীরেই বাসা বাঁধে, তিনি জীবনযুদ্ধ যতই লড়াই করুক, মৃত্যু তাঁকে কোনও না কোনও সময় গ্রাস করে। কখনও কারও দরজায় যম দূত কড়া নাড়ে খানিক আগে, কখনও আবার কারও দরজায় কিছুটা দেরিতে। বর্তমানে চিকিত্সা বিজ্ঞানের বিশাল উন্নতির পরও কর্কট রোগের সামনে যেন আজও মানুষ বড় অসহায়।


তবে কিছু মানুষের হার না মানা লড়াই, আজও এই রোগে আক্রান্ত বহু মানুষের কাছে বড় অনুপ্রেরণা। হিথার মোশার, ডেভিড মোশার। দুজনে একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন ২০১৫ সালে। তারপর থেকেই তাঁরা অবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে আচমকাই হিথার জানতে পারেন, মারণ কর্কট ব্যাধি থাবা বসিয়েছে তাঁর স্তনে। তবে যেদিনই এই দুঃসংবাদটি পান হিথার, সেদিনই ডেভিড তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কারণ একটাই। ডেভিড হিথারকে বোঝাতে চেয়েছিলেন, এই কঠিন লড়াইয়ে তিনি একা নন। তাঁর সঙ্গে পথ চলবে ডেভিডও।

তবে কিছুদিন পরই হিথার জানতে পারেন, তিনি ট্রিপল নেগেটিভ ক্যান্সারে আক্রান্ত। যেটা ক্যান্সারের অন্যতম অ্যাগ্রেসিভ ফর্ম। এখান থেকে সারার বা বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তখনই ডেভিড সিদ্ধান্ত নেন ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাঁরা বিয়ে করবেন। এদিকে কানেক্টিকাটের সেন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতালে চলতে থাকে হিথারের চিকিত্সা। তবে চিকিত্সায় তেমন সাড়া দিচ্ছিলেন না হিথার। ডেভিড বুঝতে পারেন তাঁদের হাতে সময় কমে আসছে। তখনই সিদ্ধান্ত বদলে ডেভিড ২২ ডিসেম্বর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়েও হয় গত ২২ ডিসেম্বর। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে হিথার বিয়ের মন্ত্র উচ্চারণ ও আংটি বদলের পরই ঢলে পড়েন মৃত্যু কোলে। ডেভিডের কাছে থেকে যায় শুধু স্মৃতি..........