লন্ডন: শিক্ষকতার পেশা ছেড়ে পুরোদস্তুর পোকেমন গো খেলোয়াড় হলেন ব্রিটেনের এক মহিলা। কারণ, তিনি মনে করছেন যে, এই লোকেশন ভিত্তিক অগমেন্টেড রিয়েলিটি গেম এখন দারুন জনপ্রিয়তা পাওয়ায় এর থেকে উপার্জন বেশ ভালোমতোই করা সম্ভব।


উত্তর লন্ডনের হাই বার্নেটের সোফিয়া পেদ্রাজা এমনিতেই পোকেমন-আসক্ত। পথে নেমে অনলাইন এই গেমের ভার্চুয়াল ক্যারাকটার সংগ্রহের পর ইবে-তে নিজের অ্যাকাউন্ট বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে চান তিনি।

পোকেমন গো-র ওস্তাদ খেলোয়াড়রা ইতিমধ্যেই ইবে-তে তাঁদের অ্যাকাউন্ট কয়েক হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। পথে নেমে পোকেমন ধরতে আগ্রহী নয়, এমন খেলোয়াড়রাই মূলত এর ক্রেতা।

এই দৃষ্টান্তকে সামনে রেখেই পেশা ছেড়েছেন সোফিয়া। শিশুদের অঙ্ক, ইংরেজি ও সঙ্গীতের প্রাইভেট টিউটর তিনি। মাসে আর আয় হয় হাজার দুয়েক পাউন্ড। এখন তিনি ভাবছেন, পোকেমন গো খেলে এর থেকে বেশি আয় করতে পারবেন। তিনি বলেছেন, আমি ওই গেম ডাউনলোড করেছি। এরপরই বুঝতে পারলাম, এর থেকে আয়ও করা যাবে। পোকেমন সংগ্রহ একটা নির্দিষ্ট লেভেলে পৌঁছতে পারলে তা ইবে-তে বিক্রি  করা সম্ভব।

একটি সংবাদপত্রকে সোফিয়া বলেছেন, আমি শুনেছি, ইবে-তে ২০ লেভেল বা তার বেশি লেভেলের এক-একটা অ্যাকাউন্ট ১ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হচ্ছে। লেভেল ১৫ হলে তা ১০০-২০০ পাউন্ডে বিক্রি হচ্ছে। সময় দিলে এক বা দুদিনে লেভেল ১৫-তে পৌঁছানো সম্ভব।

সোফিয়া জানিয়েছেন, তিনি বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে বেশি সংখ্যক পোকেমন ধরার জন্য একাধিক স্মার্টফোন কেনার কথা ভাবছেন। তিনি বলেছেন, কোনও কোনও দিন তো আমি ১৮ ঘন্টার বেশি খেলি। কেননা, এটা সব সময়ই খেলা যায়। আমার মা মনে করে, আমি পাগল। কিন্তু এখন মায়েরও  আমার আইডিয়াটা পছন্দ হয়েছে। যতদিন এর থেকে আয় করা যাবে ততদিন আমি এটা চালিয়ে যাব। চাহিদা ফুরিয়ে গেলে তো পুরানো পেশায় ফিরে যাওয়ার রাস্তা খোলা থাকছেই।

উল্লেখ্য, কোনও কোনও খেলোয়াড় অনলাইনে তাঁদের অ্যাকাউন্ট বিক্রি করে ৭ হাজার পাউন্ডের বেশি আয় করেছেন। একটা অ্যাকাউন্টের দাম তো ৭,৩০০ পাউন্ড পর্যন্ত উঠেছিল।

উল্লেখ্য, এর আগে নিউজিল্যান্ডের ২৪ বছরের তরুণ বারমান টম কুরি পূর্ণ সময়ের খেলোয়াড় হতে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন।