নিউ ইয়র্ক: বুরহান ওয়ানির জন্য চোখের জল ফেলেই চলেছে পাকিস্তান! নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হত হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডারকে ‘স্বাধীনতা যোদ্ধা’, ‘শহিদ’ বলেই ক্ষান্ত হচ্ছে না তারা। এবার তাকে ‘বিচারবর্হিভূত পথে’ হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে নিরপেক্ষ তদন্তও চাইল।

 

গত সপ্তাহে রাষ্ট্রসঙ্ঘে এক কাশ্মীরী প্রতিনিধিদল দেখা করেছিল পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মালিহা লোধির সঙ্গে। তাদের সঙ্গে আলোচনায় মালিহা জানান, ‘কাশ্মীরের স্বার্থে নৈতিক, কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাওয়ার নীতিনিষ্ঠ অবস্থানে’ পাকিস্তান অটল রয়েছে।

 

রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাক মিশন প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত কায়দায় ওয়ানি ও অন্য বিক্ষোভকারীদের হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন লোধি। পাকিস্তান রাষ্ট্রসঙ্ঘের নানা মঞ্চে লাগাতার কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

 

লোধি প্রতিনিধিদলটিকে এও বলেছেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘে গৃহীত একাধিক প্রস্তাবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বটে, কিন্তু কাশ্মীরের মানুষকে ‘অবাধ, নিরপেক্ষ গণভোটে’র মাধ্যমে ‘আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার’ প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি। বর্তমানে কাশ্মীরের অশান্ত হয়ে ওঠার মূলে এটাই রয়েছে। এর ফলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, শান্তি বিপন্ন হতে বসেছে।

 

বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে যে, কাশ্মীরী প্রতিনিধিদলটি পাকিস্তানের অবিরাম সমর্থন ও নানা আন্তর্জাতিক ফোরামে কাশ্মীর ইস্যু তোলার প্রয়াসের ভূয়সী প্রশংসা করেছে।

 

প্রসঙ্গত, নানা সময়ে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নানা মঞ্চ, ব্যক্তির কাছে তদ্বির করতে দেখা যায় লোধিকে। তাঁর পাশাপাশি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল বান কি মুন, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)-এর সেক্রেটারি জেনারেল ও রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশনারকে চিঠি লিখে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশবিষয়ক উপদেষ্টা সরতাজ আজিজও। কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।