ওয়েলিংটন: নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডের এক বাসিন্দা ছুরি দিয়ে বয়ফ্রেন্ডের গলা কেটে দিলেন। তবে মেরে ফেলতে নয়, জীবন বাঁচাতে।


মহিলার নাম সারা গ্লাস, বয়স ৪৫। গত মাসে বয়ফ্রেন্ড ইসাক বেস্টারের সঙ্গে বারবিকিউয়ে স্টিক খাচ্ছিলেন তিনি। সে সময় খাবারের এক খণ্ড ইসাকের শ্বাসনালীতে ঢুকে যায়, শ্বাস নেওয়ার জন্য ছটফট করতে থাকেন তিনি।

পেশায় ধাত্রী সারা ৫০ বছরের বয়ফ্রেন্ডের মুখে মুখ লাগিয়ে কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস চালু করার চেষ্টা করেন, বুকেও হাত দিয়ে চাপ দেন। কিন্তু দ্রুত বেগুনি হয়ে যাচ্ছিলেন ইসাক, সারা বুঝতে পারেন, এক ঘর লোকের সামনে তাঁর বয়ফ্রেন্ড মারা যাচ্ছেন। তিনি চেঁচিয়ে ওঠেন, কারও কাছে ধারালো কিছু আছে কিনা। ভেতরে হাওয়া ঢোকানো যাচ্ছে না, কেটে ফেলা ছাড়া উপায় নেই।

একজন তাঁর হাতে তুলে দেন একটি চকচকে ছুরি। তা দিয়ে বয়ফ্রেন্ডের কণ্ঠনালির নীচের অংশ কেটে ফেলেন সারা। রক্তে ভেসে যান দুজনেই।

মিনিটকুড়ি বাদে হাসপাতালকর্মীরা এসে ইসাককে নিয়ে যান। এক সপ্তাহ পর ছাড়া পান তিনি, আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসকরা বলেছেন, সারা তখনই ইসাকের গলা কেটে না দিলে তাঁর মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হত অথবা অঙ্গহানি ঘটত।

বান্ধবীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইসাকও। তাঁকে বীরাঙ্গনা বলে সম্বোধন করেছেন তিনি।