কুয়ালালামপুর: এই বিশ্বে কতকিছুই না ঘটে! এমন কিছু ঘটনা কখনও কখনও সামনে আসে, যা সবাইকে অবাক করে দেয়। কেউ কেউ আচমকাই পেয়ে যান, এমন কিছু, যাতে তাঁদের ভাগ্য খুলে যায়। মালয়েশিয়ার এক মহিলার সঙ্গে এমনই কিছু হল। সব কিছু জানার পরও তিনি যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না, এত মহার্ঘ জিনিস তিনি পেয়েছেন আর রাতারাতি বিশেষ কেউ হয়ে উঠেছেন তিনি। এখন দেখে নেওয়া যাক, কী এমন জিনিস ওই মহিলা পেয়েছেন, যাতে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন তিনি।
প্ল্যাস্টিকের মতো জিনিস
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪১ বছরের অ্যাইডা জুরিনা লংয়ের পেশা মাছ ধরা। মৎস্যশিকারের মাধ্যমেই পরিবার প্রতিপালন করেন তিনি। কিছুদিন আগে মাছ ধরতেই সমুদ্রের তীরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গোলাকৃতি একটা জিনিস পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। জিনিসটি ভালো করে দেখেন তিনি। প্রথমটা প্ল্যাস্টিকের আবর্জনার মতো দেখতে লাগছিল। পরে জুরিনা তা আবর্জনা ভেবেই ওই জিনিসটি ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন।
অবিশ্বাস্য
পরের দিন যখন জুরিনা মাছ ধরতে সমুদ্রের ধারে যান, তখন তাঁর চোখে ওই জিনিসটিই পড়ে। এবার একটু কেমন অন্যরকম মনে হয় তাঁর। জিনিসটি কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। আর বাড়িতে আনার পর সেটি কী, তা যাচাই করতে গিয়ে হতবাক হয়ে যান জুরিনা। বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে, তিনি কয়েক কোটি টাকা দামের জিনিস কুড়িয়ে পেয়েছেন।
আকার অনুযায়ী দাম
আসলে বিশেষজ্ঞরা জুরিনারে জানান যে, তিনি যে জিনিসটি পেয়েছেন, তা কোনও সাধারণ জিনিস নয়। বরং তা হল তিমি মাছের বমি অর্থাৎ অ্যাম্বারগ্রিস (Ambergris)। এর দাম কয়েক কয়েক কোটি টাকা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, খুব শীঘ্রই অ্য়াম্বারগ্রিস পরীক্ষা করে দেখবেন বিশেষজ্ঞদের দ্বিতীয় একটি দল। এরপর এর প্রকৃত দাম জানা যাবে। কিন্তু জুরিনার কুড়িয়ে পাওয়া ওই অ্যাম্বারগ্রিসের আকার দেখে মনে করা হচ্ছে যে, এর দাম কয়েক কোটি টাকা হতে পারে।
উল্লেখ্য, তিমির এই বমি দামী সুগন্ধী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।