ওয়াশিংটন:  কর্মক্ষেত্রে বেশি দক্ষতা, বুদ্ধি, এবং উদ্ভাবনী শক্তি থাকা সত্ত্বেও পুরুষদের তুলনায় অনেক কম স্বীকৃতি পান মহিলারা। সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ের বিশ্ববিদ্যায়লয়ের একদল গবেষক এই বিষয় একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন। সেই গবেষণা থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে।


গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কর্মক্ষেত্রে সংস্থা বা টিমের উন্নতির জন্যে যখন কোনও পুরুষরা কিছু বলেন, তখন তার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি হয়। তাঁদের সুবুদ্ধি দেওয়ার জন্যে প্রশংসা করা হয়। এমনকি, সংস্থা ও টিমের উন্নয়নে তাঁদের ভূমিকার কথা স্বীকার করে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। অথচ, সেই একই কাজ, একইরকম দক্ষতার সঙ্গে যখন মহিলাকর্মীরা করেন, তখন তাঁদের বেশিরভাগ সময়ই কোনও স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। প্রসঙ্গত, কর্মক্ষেত্রে যোগ্য সম্মান পাওয়া থেকে হামেশাই বঞ্চিত হন মহিলা কর্মীরা। এমনকি নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের মোটেই দক্ষ মনে করে না ম্যানেজমেন্ট।

এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি অ্যাকাডেমি অফ ম্যানেজমেন্ট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই গবেষক কাইলি এমিচ বলেছেন, যখনই সংস্থায় নেতৃত্বে কারও কথা বিবেচনা করা হয়, তখন সবসময়ই একজন পুরুষের কথা ভাবা হয়। তারপর তিনি আরও উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন, দশ জনের একটি দলে, যে পুরুষ সদস্য সবচেয়ে বেশি কথা বলেন, তিনি অন্য সদস্যদের চেয়ে বেশি দক্ষ হিসেবে বিবেচিত হন। অথচ, একজন মহিলা বেশি কথা বললে, তাঁকে অকারণে বাড়তি কথা বলছে বলে অনেকে মনে মনে করেন।