নয়াদিল্লি: মেয়েরা গাড়ি চালাবে না কারণ তাদের মস্তিষ্কের পরিমাণ ছেলেদের অর্ধেক। তারপর তারা শপিং করে, ব্রেন আরও ক্ষয়ে যায়, হয়ে যায় এক চতুর্থাংশ। সৌদি আরবের এক মৌলবী এমনই তত্ত্ব আউড়েছেন।
মৌলবীর নাম সেখ সাদ আল হাজারি। তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তিনি অনুগামীদের সামনে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, মস্তিষ্কের শক্তির কথা ভাব যদি, তাহলে মেয়েরা পুরুষের সমান নয়। এভাবেই তাদের তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু তাদের মস্তিষ্ক পুরুষের অর্ধেক, তাই সৌদি আরবের পরিবহণ দফতর তাদের গাড়ি চালাতে দেয় না। বলা তো যায় না, যদি অ্যাক্সিডেন্ট করে বসে!
মৌলবীর যুক্তি, একজন পুরুষের যদি অর্ধেক মস্তিষ্ক থাকত, তাকে কি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া যেত? এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।
তারপর মেয়েরা আবার শপিং করতে ভালবাসে। তাতে হয় কী, যেটুকু ঘিলু মাথায় ছিল, তাও ক্ষয়ে যায়। থাকে মোটে চার ভাগের এক ভাগ। হাজারির প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতে তাদের হাতে গাড়ির স্টিয়ারিং তুলে দেওয়া যায় কি? তবে হ্যাঁ, যদি তারা ভাল মুসলিম হয়, তবে ওই এক চতুর্থাংশ ব্রেন নিয়েই তারা সুখে স্বচ্ছন্দে জীবন কাটাতে পারবে, ঘিলুর স্বল্পতা সুখের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
সৌদির নিয়ম অনুযায়ী, মহিলাদের গাড়ি চালাতে আইনত কোনও বাধা নেই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একজন মহিলাকেও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।