ঘটনায় প্রকাশ, পরমাণু অস্ত্রের দৌড় থামানোর কোনও ইঙ্গিত দেখাচ্ছে না— এই অভিযোগ এনে ভারত, ব্রিটেন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্ব আদালতে মামলা দাখিল করে প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত ছোট্ট দ্বীপপুঞ্জ মার্শাল আইল্যান্ডস।
কিন্তু এদিন আইসিজে-র ১৬ বিচারক-বিশিষ্ট প্যানেল জানিয়ে দেয়, এই তিন পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের সঙ্গে অতীতে এই দ্বীপরাষ্ট্রের কোনও সংঘাত লেগেছে বলে প্রমাণ মেলেনি। উপরন্তু, এ-ও জানা যায়নি, যে এই ইস্যুতে কোনও দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চাওয়া হয়েছে।
ফলে, বিচারকমণ্ডলী রায়ে জানিয়ে দেয়, মার্শাল দ্বীপের বিরুদ্ধে এই তিন দেশ যে এক্তিয়ারের প্রশ্ন তুলেছে, তাকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে। প্যানেলের প্রধান রনি আব্রাহাম বলেন, মামলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না আদালত।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৬-৫৮ সালের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে ঠান্ডা যুদ্ধের সময় এই মার্শাল দ্বীপে একাধিক পরমাণু পরীক্ষা চালিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার জেরে ২০১৪ সালে বিশ্বের ৯টি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
মার্শালের অভিযোগ, ১৯৬৮ সালের পরমাণু অস্ত্রপ্রসার রোধ চুক্তি মোতাবেক নিজেদের অস্ত্রসম্ভার কমানোর যে দায়বদ্ধতা দেখানো উচিত ছিল, তা দেখায়নি এই দেশগুলি।
কিন্তু, চিন, ফ্রান্স, ইজরায়েল, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দেয়, তারা বিশ্ব আদালতের এক্তিয়ারকে গ্রাহ্য করে না। ইজরায়েল জানিয়ে দেয়, তাদের কোনও পারমাণবিক অস্ত্র নেই। ফলত, তাদের বিরুদ্ধ মামলা খারিজ হয়ে যায়।
এরপর, মার্শালের তরফে জানানো হয়, ব্রিটেন, ভারত ও পাকিস্তান—এই তিন দেশ এনপিটি চুক্তি বহির্ভূত কাজ করেছে। ভারত ও পাকিস্তান সাফ জানিয়ে দেয়, তারা ওই চুক্তি স্বাক্ষর করেনি। তাই তা মানতেও বাধ্য নয়।
এরপরই ভারত সহ তিনদেশের বিরুদ্ধেও মামলা খারিজ হয়ে যায়। এদিনের রায়কে হতাশাজনক বলে উল্লেখ করেছে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।