নয়াদিল্লি: আজ ওয়ার্ল্ড এল্ডার অ্যাবিউজ অ্যাওয়ারনেস ডে। বয়স্কদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতিবছর ১৫ জুন এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। ২০০৬ সালে এই দিনটি স্থির হলেও, ২০১১ সালে তা সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার স্বীকৃতি পায়। 


এই দিনটির ইতিহাস


এই দিবস গঠনের প্রস্তাব প্রথম দেয় ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক ফর প্রিভেনশন অফ এল্ডার অ্যাবিউজ (আইএনপিইএ)। সেটা ২০০৬ সালে। তাদের অনুরোধকে মান্যতা দিয়ে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ৬৬/১২৭ রেসোলিউশনের ওয়ার্ল্ড এল্ডার অ্যাবিউজ অ্যাওয়ারনেস ডে-কে স্বীকৃতি দেওয়ার পর সরকারিভাবে এই দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়। 


এই দিবসের উদ্দেশ্য


এই দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হল প্রবীণ ও বয়স্কদের ওপর হয়ে চলা নির্যাতন ও অবহেলা সম্পর্কে বিশ্ববাসী ও সমগ্র গোষ্ঠীকে অবগত করা। প্রবীণ ও বয়স্কদের অবহেলা হল বিশ্বব্যাপী সামাজিক ইস্যু। কারণ, এতে শুধুমাত্র যে বয়স্কদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তাই নয়, এতে তাঁদের অধিকারও খর্ব হয়। 


এবছরের থিম


এবছর ওয়ার্ল্ড এল্ডার অ্যাবিউজ অ্যাওয়ারনেস ডে-র থিম হল অ্যাকসেস টু জাস্টিস বা বিচার প্রাপ্তি। লক্ষ্য-- বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রয়োজনের পুরোপুরি সমাধান করার গুরুত্বকে মনে করানো। 


সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে, যে সকল বয়স্ক ব্যক্তিদের বিভিন্ন সময়ে হিংসা, ভর্ৎসনা ও অবহেলা জাতীয় পরিস্থিতির মধ্য়ে দিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাঁরা বহুক্ষেত্রে জানিয়েছেন-- বিচারের সুরাহা পাওয়ার রাস্তাটুকুও মেলেনি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের অধিকার।


অনেক ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন, সাংস্কৃতিক মানদণ্ড, লিঙ্গ পক্ষপাত, বৈষম্য এবং নীতি, নিয়মাবলী এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসা মান্ধাতার আমলের অভ্যাসের ফলে বিচার প্রভাবিত হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়াগুলিতে অতিরিক্ত বিলম্ব হয়েছে। 


রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, বিচারের নিশ্চিত ব্যবস্থা বয়স্ক ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যের অধিকার, পর্যাপ্ত সামাজিক সুরক্ষা এবং মর্যাদায় বাঁচার অধিকার সহ তাদের সমস্ত মানবাধিকারের পুরোপুরি প্রয়োগের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।


বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান এবং তার সংরক্ষণ বা পুনরুদ্ধার এই জাতীয় পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ।