কলকাতা: মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে সংস্কৃতির অবদান অনস্বীকার্য। বিনোদন থেকে সমাজ-সচেতনতা, সব কিছুর জন্য প্রয়োজন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। সমসাময়িক আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক পরিস্থিতির ছবি ফুটে ওঠে সেই সময়ে গান-কবিতা-নাটকে (Theatre)। ইতিহাস বলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনের পিছনেও প্রভাব থাকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের। আর তার মধ্য়েই অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম নাটক। মঞ্চে হোক বা রাস্তায়--দর্শক বা সাধারণ নাগরিকদের কাছে কোনও বার্তা পৌঁছনোর জন্য অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম নাটক। প্রাচীন কাল থেকে আধুনিক কাল। দীর্ঘ সময় পেরনোর পরেও যার শক্তি এখনও অটুট। নাটক এবং তার সঙ্গে যুক্ত সকলের অবদান মনে রাখতেই বেছে নেওয়া হয়েছে একটি বিশেষ দিন। আজ, ২৭ মার্চ, বিশ্ব থিয়েটার দিবস (World Theatre Day).
কবে থেকে শুরু:
প্রতিবছর ২৭ মার্চ দিনটিতেই পালিত হয়ে থাকে এই দিনটি। ১৯৬১ সালের ২৭ মার্চ, প্রথমবার এই দিনটি পালিত হয়েছিল। ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট (International Theatre Institute)-এর উদ্যোগে শুরু হয় এই দিনটি। তারপর থেকে বছর বছর উদযাপন চলছে। প্রথমবার ফিনল্যান্ডের (Finland) হেলসিঙ্কিতে আয়োজিত হয়েছিল এই অনুষ্ঠান। তারপরের বার বিশ্ব থিয়েটার দিবস আয়োজিত হয়েছিল ভিয়েনাতে (Vienna)। বিশ্বজুড়ে একাধিক নাট্যদল, নাট্যব্যক্তিত্ব এবং নাট্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই দিনটি উদযাপনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। পৃথিবীতে ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউটের একাধিক শাখা রয়েছে। এদিন সবকটিই নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজেও নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এবার কী থিম:
বছর বছর থিম বদলায় না এই ক্ষেত্রে। প্রতিবছরই একটিই থিম থাকে। সেটি হল 'নাটক এবং শান্তির সংস্কৃতি' (Theatre and a Culture of Peace)। বিশ্বে শান্তির বার্তা পৌঁছতে কীভাবে নাটকের ব্যবহার করা যায়। তা নিয়েই আলোচনা চলবে দিনভর।
আরও পড়ুন:একাত্তরের গণহত্যার ঘটনায় পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত, মত বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর