নয়া দিল্লি: ১৯৭১-এ নির্যাতন ও গণহত্যা চালানোর জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বিদেশেমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে পতাকা উত্তোলনের সময় এই মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গ গণহত্যা
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে মরণোত্তর বিচারের আওতায় আনা উচিত, যাতে পাকিস্তানের নতুন প্রজন্মের কাছে পূর্বপুরুষের অপরাধের বোঝা কমে। একাত্তরে নিরীহ বাঙালিদের ওপর হত্যাযজ্ঞের পরও ক্ষমা না চাওয়াকে ’খুবই দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করে মোমেন বলেন, “আমি প্রায়ই বলি, পাকিস্তানিদের লজ্জা পাওয়া উচিত। এই জন্য যে- এত বড় যে নির্যাতন হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে।"
শাস্তির দাবি
মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিচার পাকিস্তান সরকারের করা উচিৎ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যারা মৃত, তাদেরও মরণোত্তর শাস্তি দেওয়া উচিত। “এই যে অপরাধ করেছে, সেজন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। কারণ এই অপরাধ অগ্রহণযোগ্য।"
আরও পড়ুন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন ইমরান খান? তুঙ্গে জল্পনা
জাতীয় গণহত্যা দিবস
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷ কিন্তু ২০১৫ সালে জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা করায় ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ের এখন আর সম্ভব নয় বলে মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির৷ তবে তিনি মনে করেন মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে বাংলাদেশে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে তার স্বীকৃতি আদায় সম্ভব৷ এজন্য প্রয়োজন সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক এবং ধারাবাহিক উদ্যোগ৷
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’-এর মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী৷ ওই এক রাতেই ৫০ হাজার বাঙালিকে হত্যা করা হয়৷ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি শহিদ হন৷ দুই লাখ নারী নিপীড়ন, যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হন৷