লন্ডন: মাল্টা থেকে লা মাড্ডালেনা বন্দরে ঘাঁটি গেড়ে থাকা মুসোলনির ইতালির দুটি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করার জন্য পাড়ি দিয়েছিল ব্রিটিশ নৌবাহিনীর একটি ডুবোজাহাজ। কিন্তু মাঝপথেই সেটি নিখোঁজ হয়ে যায়। ইতালির উপকূলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার সেই ডুবোজাহাজের হদিশ মিলল ৭৩ বছর পর। সেইসঙ্গে পাওয়া গিয়েছে ওই যুদ্ধজাহাজে সওয়ার ৭১ জনের দেহও। সার্ডিনিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলে ট্যাভোলারা দ্বীপের কাছে সমুদ্রের ১০০ মিটার গভীরে ডুবোজাহাজটি হদিশ পায় একটি ডাইভিং টিম।
১৯৪৩-এর ২ জানুয়ারি ডুবোজাহাজটি উধাও হয়ে গিয়েছিল। ওলবিয়া উপসাগরে মাইনের আঘাতে ডুবোজাহাজটি ডুবে যায় বলে অনুমান করা হয়েছিল।
ডাইভিং টিমের প্রধান ম্যাসিমো ডোমেনিকো বোরডোন বলেছেন, ডুবোজাহাজটি খুঁজে পাওয়ার পর তাঁর প্রথমেই মনে পড়েছিল সেই লোকেদের কথা, জলের গভীরে যাঁদের জীবন্ত সমাধি হয়েছিল। বিশ্বযুদ্ধের সময় এ ধরনের পরিণতি তো যুযুধান দুই পক্ষেরই অনেক মানুষের হয়েছিল।
১৯৪২-র ২৮ ডিসেম্বর মাল্টা থেকে রওনা দিয়েছিল ডুবোজাহাজটি। ৩১ ডিসেম্বর শেষবারের মতো সঙ্কেত এসেছিল জাহাজটি থেকে। সামরিক বাহিনীর অধিকারিকরা অনুমান করেছিলেন, ডুবে গিয়েছে জাহাজটি।
এতদিন সমুদ্রের গভীরে থাকা সত্ত্বেও ডুবোজাহাজটির সেরকম কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। শুধু সামান্য অংশ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বোরডোন বলেছেন, বায়ু নিরুদ্ধ অবস্থায় ডুবোজাহাজটি ডুবে গিয়েছিল। এর অর্থ, জাহাজের সওয়ারিরা অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছিলেন। বোরডোন ডুবোজাহাজটিকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন।
ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষকে উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়া হবে বলে ব্রিটেনের রয়্যাল নেভির পক্ষ থেকেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে।একইসঙ্গে রয়্যাল নেভি জানিয়েছে, জাহাজটি তাদেরই কিনা, তা নিশ্চিত করতে পুরানো নথিপত্র খতিয়ে দেখা হবে।