রাষ্ট্রপুঞ্জ: ভারত-পাক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দূরত্ব বজায় রাখার অবস্থানের নীতি বদলের ইঙ্গিত দিল আমেরিকা। ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের প্রচেষ্টায় সামিল হওয়ার চেষ্টা করবে আমেরিকা। এজন্য ‘কোনও কিছু ঘটে যাওয়া’ পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে না। এই উদ্যোগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বয়ং ভূমিকা নেবেন বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।


রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালির কথায় হোয়াইট হাউসের এই অবস্থান বদলের সংকেত পাওয়া গিয়েছে।উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট পদে ভোটের প্রচারে ট্রাম্প বলেছিলেন, দুই দেশ চাইলে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতায় আগ্রহী। এবার নিকি হ্যালির মন্তব্যে ভারত-পাক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমেরিকার সামিল হওয়ার চেষ্টার ইঙ্গিত আরও জোরাল হল বলেই মনে করা হচ্ছে।

হ্যালি বলেছেন, বর্তমান মার্কিন প্রশাসন ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন। সম্পর্কের উত্তেজনা যাতে কোনওরকম সংঘাতের আকার ধারণ না করে তা আমরা দেখতে চাই।

ট্রাম্প মন্ত্রিসভার পদস্থ ইন্দো-মার্কিন সদস্য বলেছেন, দুই প্রতিবেশী দেশের উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা গ্রহণের বিষয়ে সামিল হওয়ার চেষ্টা বর্তমান মার্কিন প্রশাসন করবে বলে তাঁর আশা। কোনও কিছু ঘটে যাওয়া পর্যন্ত এক্ষেত্রে অপেক্ষা করা উচিত বলেও তাঁরা মনে করেন না বলে জানিয়েছেন নিকি হ্যালি।  এপ্রিলে মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্বভার গ্রহণের পর সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা বলেছেন তিনি।

কাশ্মীর নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরুর ব্যাপারে আমেরিকা কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করবে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে নিকি হেলি বলেছেন, এ ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে আমেরিকাকে। এই উদ্যোগে সামিল হওয়া যায় কিনা, তা দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্বয়ং প্রেসিডেন্টকে উদ্যোগী হতে দেখলে তা অবাক হওয়ার মতো কিছু হবে না।

উল্লেখ্য, নিকি হ্যালির এই মন্তব্য যথেষ্ট তাত্পর্য্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তাঁর মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করলেন।

উল্লেখ্য, আমেরিকার পূর্বতন ওবামা প্রশাসনের অবস্থান ছিল, কাশ্মীর একান্তভাবেই ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। এই দুটি দেশকেই এর সমাধান করতে হবে। এক্ষেত্রে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই।

ভারত বরাবরই দাবি করে এসেছে, কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপু্ঞ্জ বা আমেরিকা সহ তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা নয়াদিল্লি খারিজ করে দিয়েছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তান কাশ্মীর সমস্যা রাষ্ট্রপুঞ্জের বিভিন্ন মঞ্চে ধারাবাহিকভাবে তুলেছে। ইসলামাবাদ তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিষয়েও তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে।