বেজিং: ডোকালাম নিয়ে ভারতের তোলা আপত্তিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে খণ্ডন করল চিন। একইসঙ্গে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিল চিনা সেনা ভারতে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি আরও বিশৃঙ্খল হবে।
মঙ্গলবার, চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ডোকালামে চিন সড়ক নির্মাণ করলে তাদের সীমান্ত নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বলে যে অভিযোগ তুলেছে ভারত, তা একেবারে ‘হাস্যকর ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।
বেজিংয়ের দাবি, ভারতও সীমান্তে একাধিক পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করে চলেছে। এখন নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার অছিলায় চিনা সেনা যদি সেদেশে ঢোকে, তাহলে ‘চরম বিশৃঙ্খল’ পরিস্থিতি তৈরি হবে।
চিন জানিয়েছে, তাদের ভূখণ্ডে কোনও ব্যক্তি বা দেশের অনধিকার প্রবেশ তারা মেনে নেবে না। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনউইং জানান, চিনের সড়ক নির্মাণের অজুহাতে ভারতীয় সেনা অবৈধভাবে সীমান্তপার করেছে।
এরসঙ্গেই তিনি প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে যোগ করেন, আপনাদের (ভারতের) ভাবা উচিত। ভারতের হাস্যকর যুক্তি যদি আমরা সহ্য করি, তাহলে সেক্ষেত্রে প্রতিবেশীর কাজ পছন্দ না হলে, যে কেউ তার বাড়িতে ঢুকে পড়বে।
তিনি যোগ করেন, সেক্ষেত্রে চিনও মনে করতেই পারে, সীমান্তে ভারতের বিপুল পরিকাঠামো-উন্নয়নের কাজে তাদের সীমান্ত-সমস্যা হচ্ছে, তাহলে তারাও ভারতে প্রবেশ করতে পারে। তখন ‘চরম বিশৃঙ্খল’ পরিস্থিতি হবে কি না, প্রশ্ন হুয়ার।
প্রসঙ্গত, গত দুমাস ধরে ভারত-চিন সীমান্তের সিকিম সেক্টরে ডোকালামে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দুদেশের সেনার মধ্যে। গত জুন মাসে, ডোকালামে চিন সড়ক নির্মাণ করতে গেলে তা রুখে দেয় ভারত।
চিনের দাবি, ডোকালাম তাদের ভূখণ্ডের অংশ। ভারতের পাল্টা দাবি, এই এলাকাটি ভূটানের। পাশাপাশি, এই ডোকালাম শিলিগুড়ি করিডরের ভীষণ কাছে—যা ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের যোগসূত্র।
এর জেরে দুদেশের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সামরিক সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর আগে ১৯৮৭ সালে অরুণাচল প্রদেশের সমোরডং চু উপত্যকায় দুই সেনার মধ্যে এধরনের দীর্ঘ সংঘাতের পরিবেশ ছিল।