নয়াদিল্লি: ইউ আর হ্যান্ডসাম। চিনে জি ২০ বৈঠকে গিয়ে সম্পূর্ণ অচেনা কোনও মেয়ের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত এই কথাটি শুনতেই পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেপ্টেম্বরে, পূর্ব চিনের হ্যাংঝু শহরে হবে জি ২০ বৈঠক। আর সেই বৈঠক স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলতে চেষ্টার ত্রুটি করছে না বেজিং। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রাথমিক ইংরেজি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, যাতে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করতে এসে ভাষার অভাবে না হোঁচট খেতে হয়। শেখানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মত কোনও রাষ্ট্রনায়কের সঙ্গে দেখা হলে স্বেচ্ছাসেবক তাঁর সদ্য জানা ইংরেজি প্রয়োগ করে প্রথমে বলবেন, ওয়েলকাম টু হ্যাংঝু। তারপর সুযোগ পেলেই ইউ আর হ্যান্ডসাম! মার্কিন প্রেসিডেন্টই হোন বা যেই হোন, রূপের প্রশংসায় কার না মন ভোলে! চিনা নেতাদেরও আশা, আর্থিকভাবে সবথেকে শক্তিশালী ২০টি রাষ্ট্রের নেতাও এতে নরম হয়ে পড়বেন, চিনা দাবিদাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হবে না মোটেই।


তবে জি ২০ বৈঠক সফল করতে আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব সব পদক্ষেপ করেছে বেজিং। ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ সপ্তাহ জি ২০ বৈঠক ছাড়া অন্য কোনও বুকিং নেওয়া বন্ধ রাখতে যাবতীয় হোটেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রীষ্মের এই সময়টা হ্যাংঝুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চমকে দেওয়ার মত। কিন্তু পর্যটকদের হ্যাংঝুমুখো হওয়ার পথে কড়া নিষেধাজ্ঞা তুলেছে তারা।

বৈঠক চলাকালীন গোটা এলাকায় এক সপ্তাহের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যটকদের যেমন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, তেমনই স্থানীয়দের জন্য ১০ বিলিয়ন ইউয়ান বা ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ট্র্যাভেল ভাউচার বিলি করছে চিন সরকার, যাতে তাঁরা হ্যাংঝুর ভিড়ভাট্টা কমিয়ে অন্যত্র গিয়ে জি ২০-র সময়টা ছুটি কাটিয়ে আসতে পারেন।

এলাকার অন্তত ২৫০ কারথানা ২৪ অগাস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে আকাশে কালো ধোঁয়া না ওঠে।

কিন্তু এত কিছু বজ্র আঁটুনিতেও যদি ফস্কা গেরো থেকে যায়? তার জবাব তো হাতের কাছেই। ওই যে, সুন্দরী মেয়ের মুখে মিষ্টি তিনটে শব্দ, ইউ আর হ্যান্ডসাম!!