ওয়াশিংটন: নাসার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পেল ইসরো। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চন্দ্রযান-২ অভিযানে চরম কাঙ্খিত সাফল্য না এলেও মার্কিন বিজ্ঞানীরা জানালেন, ল্যান্ডার বিক্রমকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করানোর চেষ্টা তাঁদের উদ্ধুদ্ধ করেছে। ভবিষ্যতে তাঁরা ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যৌথ ভাবে সৌর জগতের সিস্টেম জানার অভিযানে নামতে চান বলেও জানিয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে চন্দ্রযান-২ এর বিক্রম মডিউলকে পূর্ব পরিকল্পনামাফিক অবতরণ করানো যায়নি। একেবারে শেষ মূহূর্তে ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশনের সঙ্গে ল্যান্ডারের সংযোগ নষ্ট হয়ে যায়। ইসরো ট্যুইট করেছে, মহাকাশ কঠিন জায়গা। ইসরোর চন্দ্রযান ২ মিশনকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামানোর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আপনারা এই অভিযানের মাধ্যমে আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে, একসঙ্গে সোলার সিস্টেম নিয়ে গবেষণা, অভিযানে নামার সুযোগের অপেক্ষায় রইলাম।



ভারতের চন্দ্রযান-২ এর বিক্রম মডিউলকে চাঁদের বুকে নামানোর ‘সাহসী প্রয়াস’ এর পরের অভিযানগুলির সময় সাহায্য করবে বলে অভিমত জানিয়ে নাসার প্রাক্তন নভশ্চর জেরি লিনেনগার বলেন, খুব বেশি হতোদ্যম হওয়া উচিত নয় আমাদের। ভারত খুবই কঠিন একটা কিছু করার চেষ্টা করছিল। ল্যান্ডার যত লক্ষ্যের দিকে এগচ্ছিল, সব কিছু পূর্ব পরিকল্পনামতোই ঘটছিল।

চন্দ্রযান-২ অভিযানের সূচনা হয় ২২ জুলাই। স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-থ্রি এর মাধ্যমে। ১৪ আগস্ট পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে তা চাঁদের অভিমুখে যাত্রা শুরু করে।
নাসা বলেছে, চাঁদের মাটিতে অবতরণ সহ যাবতীয় চন্দ্রাভিযানের মাত্র অর্ধেক গত ৬ দশকে সফল হয়েছে। ১৯৫৮ থেকে মোট ১০৯টি চন্দ্রাভিযানের মধ্যে ৬১টি এপর্যন্ত কাঙ্খিত সাফল্য পেয়েছে বলে ‘মুন ফ্যাক্ট শিটে’ দাবি করেছে তারা। রোভার নামানো ও স্যাম্পল রিটার্ন সহ চাঁদের মাটিতে অবতরণের মোট ৪৬টি অভিযান হয়েছে। ২১টি সফল, দুটি আংশিক সফল হয়েছে। তথ্য, নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠানোর অভিযান-এটাই হল স্যাম্পল রিটার্ন। ১৯৬৯ এর নভেম্বর আমেরিকার পাঠানো অ্যাপোলো ১২ই ছিল প্রথম সফল স্যাম্পল রিটার্ন মিশন।