নয়াদিল্লি: কুস্তিগীর সাগর ধনখড় খুনের মামলায় এবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন অলিম্পিক্স মেডেলজয়ী সুশীল কুমার। পুলিশি জেরায় সুশীল জানিয়েছেন, ছত্রশাল স্টেডিয়ামে বচসার পর তাঁর পালানো উচিত হয়নি। ভুল লোকের পরামর্শে এই কাজ করেছেন তিনি।


বার বার প্রশ্ন করেও একই উত্তর দিচ্ছেন সুশীল। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের জেরায় একবারও খুনের বিষয়ে উল্লেখ করছেন না অলিম্পিক্স মেডেলজয়ী। সূত্রের খবর, মানসিকভাবে শক্ত হওয়ায় জেরায় ভেঙে পড়েননি এই কুস্তিগীর। আধিকারিকদের আশঙ্কা, ভুল দিকে তদন্তকে মোড় দিতে পারেন সুশীল। সেকারণে আসল কথা বের করতে মনোবিদের সাহায্য নিতে পারে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।


পুলিস সূত্রে খবর, জেরায় সুশীল বলেন, ''আমি নির্দোষ। আমি কেন খুন করতে যাব ? আমি কখনোই হ্ত্যাকে সমর্থন করি না। আমার সঙ্গে কোনও গ্যাংস্টারের যোগ নেই।'' ঘটনার পর ভুল লোকের পরামর্শে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মনোবিদদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন সুশীল।বার বার নিজের মন্তব্য বদলে ফেলছেন তিনি। ছত্রশাল স্টেডিয়ামে কুস্তিগীর খুনে আটজন প্রত্যক্ষদর্শীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাদের থেকেই উঠে আসে খুনের একাধিক তথ্য। এরপরই কোণঠাসা হয়ে পড়েন অলিম্পিক জয়ী 
কুস্তিগীর। 


গত ৪ মে ছত্রাশল স্টেডিয়ামে প্রাক্তন জুনিয়র ন্যাশনাল কুস্তিগীর সাগর ধনখড়ের সঙ্গে ঝগড়া হয় সুশীল কুমারের। পরে সেই বচসা হাতাহাতির রূপ নেয়। যাতে গুরুতর আহত হন সাগর। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি।দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল জানিয়েছে, রবিবার মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছ থেকে সুশীলকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে সুশীলের ডান হাত বলে পরিচিত অজয় কুমারের সঙ্গে স্কুটিতে যাচ্ছিল দুজনে। 


দিল্লি পুলিশ সূত্রের মতে, সুশীলের সঙ্গে সাগরের এই মারপিট দিল্লির মডেল টাউনে সুশীল কুমারের একটি ফ্ল্যাটকে কেন্দ্র করে। ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া দিয়ে থাকতেন সাগর। তবে একা ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন না সাগর। প্রাক্তন জুনিয়র ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে থাকত তাঁর বন্ধু সোনু মহল। গ্যাংস্টার কালা জেঠাদির ডান হাত বলে পরিচিত এই সোনু। প্রাথমিক জেরায় সুশীল জানিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া দেওয়া বা উচ্ছেদের বিষয় নিয়ে মূল ঝামেলা শুরু হয়।