এস টাইপ করোনায় যা মৃতের সংখ্যা তার থেকে এল টাইপে মৃত অনেক বেশি। এ নিয়ে এখনও কোনও গবেষণা না হলেও মনে করা হচ্ছে, এই এল টাইপ করোনা জীবাণু সংক্রমণই গুজরাতে এত মৃত্য়ুর কারণ। এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে ১৩৩ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। গুজরাত বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের এক বৈজ্ঞানিক বলেছেন, করোনাভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং করে দেখা গিয়েছে এতে এল টাইপ লক্ষণ রয়েছে। এই ভাইরাসই ছড়িয়ে গিয়েছিল ইউহানে। সেন্টারের ডিরেক্টর সিজি জোশী বলেছেন, এল টাইপ এস টাইপের থেকে বেশি ভয়ঙ্কর। মিউটেশনের সংখ্যা ও শতাংশের ওপর করোনাভাইরাসের ধরন নির্ভর করে। যে সব জায়গায় মৃত্য়ু বেশি, সে সব জায়গায় এল টাইপের প্রভাব বেশি।
এই সেন্টার অল্পদিন আগে করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ জেনোম সিকোয়েন্স ডিকোড করেছে, তিনটি নতুন মিউটেশনও চিহ্নিত করেছে। যে রোগীর শরীর থেকে এই জীবাণুর নমুনা সংগ্রহ করা হয় তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জোশী জানিয়েছেন।
রাজ্য সরকার অবশ্য মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার জন্য অন্যান্য অসুস্থতা আর হাই রিস্ক ফ্যাক্টরকেও দোষ দিচ্ছে। হৃদযন্ত্র, ফুসফুসের রোগ, ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন ইত্যাদি গুজরাতে করোনা মৃতদের মধ্যে ১৯ জনের শরীরে ধরা পড়েছে। বেশি ঝুঁকি ৬০ বছরের ওপর ও ৫ বছরের কম বয়সীদের। গর্ভবতীদেরও মৃত্যুর ঝুঁকি যথেষ্ট। যাঁরা এ রাজ্যে এএই রোগে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশই এই দলে পড়েন।