পটনা : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির সাক্ষী থাকল বিহার। বেগুসরাই জেলায় পুরোনো বাড়ি ভেঙে আহত হয়েছেন ৬ জন। একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নোনপুর গ্রামে টানা বৃষ্টির ফলে বাড়ি ভেঙেছে বলে খবর।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আসার আগের থেকেই শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। টানা ৩৬ ঘণ্টা বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা হয় বেগুসরাইয়ের। নোনপুরের গ্রামবাসী জানিয়েছেন, বৃষ্টির জেরে হঠাৎই বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে। যার নীচে চাপা পড়ে যায় ৬ জন। যাদের মধ্যেই একজন মহিলা ছাড়াও দুজন শিশু ছিল। এরা সবাই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে যায়। যাতে গীতা পাসওয়ান নামের এক মহিলার মৃত্যু হয়। পরে গ্রামবাসী এসে আক্রান্তদের উদ্ধার করেন। তাদেরকে বেগুসরাই সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থকেই ব্যাপক বৃষ্টি হয় বিহারে। যেখানে গয়া, সারন, বৈশালী, পটনা, বেগুসরাই , মধুমনী, সীতামারিতে অনবরত বৃষ্টি হতে থাকে। যার জেরে এই জেলাগুলির অনেক অংশে জল জমে যায়। প্রবল বৃষ্টির ফলে বিহারের জয়প্রভা ব্রিজের একাংশ ভেঙে যায়। বিহার ও উত্তরপ্রদেশের অনেকগুলি জেলাকে জুড়ে রেখেছিল গঙ্গা নদীর ওপর থাকা এই ব্রিজ। এর ফলে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অংশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ইউপির ম্যাপ বলছে, উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের অংশে এই ব্রিজ। যা বিহারের হাজিপুর রোড পর্যন্ত বিস্তৃত। বিহারের রাজধানী পটনা থেকে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর, বালিয়া, বারাণসীতে যাওয়ার এটা অন্যতম রাস্তা। ব্রিজের একাংশ ভেঙে পড়ায় সমস্যার মুখে পড়েন দুই রাজ্যের একাধিক জেলার মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিহার বিধানসভা চত্বরেও একাধিক গাছ ভেঙে পড়ে। এদিকে বিহারের বাইরে ইয়াসে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে।
এদিন ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকা আকাশপথে ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত তিন রাজ্যের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ওড়িশাকে অবিলম্বেই ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাকি ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডকে ।