কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ভ্রুকুটির মাঝেই পূর্ণিমার ভরা কোটাল। প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই সাগর দ্বীপে জোয়ার শুরু হয়েছে। ঢেউয়ের উচ্চতা সাড়ে ৫ মিটারেরও বেশি। দুপুর ১টার পর কলকাতায় জোয়ার আসায় গঙ্গায় জলস্তর উঠতে পারে ৫.২৬ মিটারে। এর সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে প্রবল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা। সাগর দ্বীপে এই মুহূর্তে ঢেউয়ের উচ্চতা ৬ ফুটের বেশি। 


ইতিমধ্যে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। তাণ্ডবেপর ছবি উপকূলবর্তী এলাকায়। আর এই আবহে নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পূর্ণিমার ভরা কোটালে জলোচ্ছ্বাস। ভরা কোটালে ক্রমশ বাড়ছে গঙ্গার জলস্তর। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই লকগেট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, বিকেল ৪টে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে লকগেট। এই সময়ের মধ্যে কলকাতায় ভারী বৃষ্টি হলে, শহর জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি, পুরসভার দাবি, গঙ্গার জলস্তর যে হারে বাড়ছে তাতে এমনিতেই বেশ কিছু পকেট এরিয়া প্লাবিত হতে পারে। পুরসভা সূত্রে খবর, দুপুর ১টা ২৩ নাগাদ গঙ্গার জলস্তর বাড়তে পারে ১৭.২৪ ফুট পর্যন্ত। 


এদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই ওড়িশার বালেশ্বরে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ শুরু হয় ল্যান্ড ফল। ৩ ঘণ্টা ধরে এই ল্যান্ড ফল চলবে। ল্যান্ড ফলের সময় সাইক্লোনের আই অংশটি ঢুকতে শুরু করে স্থলভাগে। এই মাঝের অংশটি ঢোকার সময় ঝড়ের বেগ ও বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। টেল অংশটি অতিক্রম করে যাওয়ার সময় ফের ঝড়ের দাপট বাড়বে। বাড়বে বৃষ্টি।আজ সকালে সাইক্লোনের ক্লাউড ওয়াল ঢুকতে শুরু করায় ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব শুরু হয়। সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। দিঘায় সকাল সাড়ে ৬টায় ইয়াসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার। আছড়ে পড়ার আগেই প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে ইয়াস। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় শুরু হয় বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও নদিয়াতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।