নয়াদিল্লি: শীতের দেখে নেই এখনও পর্যন্ত। তার আগেই দূষণের প্রকোপে দিল্লি। পড়শি রাজ্যে ফসলের গোড়া পোড়ানোর ফলে দিল্লির বাতাসে বিষ মিশে চলেছে। বিষ মিশছে যমুনার জলেও। এই মুহূর্তে বিষাক্ত ফেনায় ঢেকে গিয়েছে যমুনার কালো জল। একঝলক দেখে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ বলে মনে হলেও, ওই ফেনা আসলে বিষাক্ত। অক্টোবর মাসে যমুনার এমন অবস্থায় বিপদ দেখছেন পরিবেশবিদরা। (Yamuna River Froth)


ঘটনাস্থল থেকে যে দৃশ্য সামনে এসেছে, তাতে যমুনা জুড়ে শুধু সাদা ফেনা চোখে পড়ছে। আকাশে বাসমান মেঘের মতোই, যমুনার স্রোতের সঙ্গে একদিক থেকে অন্য দিকে সরে সরে যাচ্ছে ওই ফেনা। যতদূর চোখ যায়, যমুনার কালো জল কোথাও চোখে পড়ে না। শুধুমাত্র পেঁজা তুলোর মতো মেঘ জমে রয়েছে বলে ঠাহর হয়, যা আসলে বিষাক্ত ফেনা। (Delhi Pollution)



পূর্ত দফতরের তরফে জল ছিটিয়ে ওই ফেনাকে নিস্তেজ করার প্রচেষ্টা চলছে যদিও, তবে তা বিধ্বংসী আগুন নেভাতে গ্লাসে কের জল ঢালার সমান। এই বিষাক্ত ফেনার রাশির জম্য মূলত নোংরা জল, শিল্পবর্জ্য,রাসায়নিক বর্জ্যকে দায়ী করা হচ্ছে। গৃহস্থের বাড়ির নর্দমা থেকে নির্গত জেল, ছাপা কারখানায় ব্যবহৃত ফসফেট, সালফেকট্যান্টস, শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত অ্যামোনিয়া ও ফসফেট যুক্ত বর্জ্য, অন্যান্য রাসায়নিক বর্জ্য মিশেই এই ফেনা তৈরি হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।



যমুনার জলের পাশাপাশি, রাজধানীর বাতাসেও বিষ মিশে চলেছে। শনিবা সকাল থেকেই ধোঁয়াশায় ঢাকা রাজধানী দিল্লি। সকাল ৮টা নাগাদ বাতাসের গুণমান ছিল ২২৬, যা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। অক্ষরধামে এদিন বাতাসের গুণমান ছিল ৩৩৪, অর্থাৎ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। AIIMS এবং সংল্গন অঞ্চলে বাতাসের গুণমান ছিল ২৫৩, ইন্ডিয়া গেটে ২৫১, যাকে অস্বাস্থ্যকর বলে গন্য করছে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড।


ধোঁয়াশার প্রকোপ কাটাতে দিল্লির সরকার একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে চলতি সপ্তাহ। মুখ্যমন্ত্রী অতিশী এবং পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাইয়ের মধ্যে বৈঠক হয় এ নিয়ে।  নির্মাণকার্যের উপর নজরদারি চালাতে ৯৯টি দল গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি, পূর্ত দফতর ২০০টি ধোঁয়াশা প্রতিরোধ বন্দুক কিনতে চলেছে।  সামনে দীপাবলি যেহেতু,. এই সময় আতসবাজি ফাটানো থেকেও সাধারণ মানুষকে বিরত থাকতে বলেছে সরকার।