কলকাতা: শেষ পর্যন্ত দিঘা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ। রবিবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। আগামী বুধবার তা আছড়ে পড়তে পারে বাংলা-ওড়িশা উপকূলে। দিঘার কাছাকাছি স্থলভাগে ঢোকার সম্ভাবনা ঘূর্ণিঝড় যশের।


এই মে-ই দেখেছিল দক্ষিণবঙ্গের বুকে বিধ্বংসী আমফানের তাণ্ডব। দেখেছিল আয়লার ভয়াবহতা। গতবছরের বিশে মে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গকে ছাড়খার করে দিয়েছিল আমফান। ২০০৯-এর ২৫ মে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল আয়লা। সেই মে মাসেই আবার ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। এবার যশ।


আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে,  উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে শনিবার অর্থাৎ ২২ মে নাগাদ একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। সেই নিম্নচাপ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে, শক্তিসঞ্চয় করে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। সেই ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পশ্চিম অভিমুখী হয়ে, ২৬ মে, বুধবার পৌঁছতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে।


তার জেরে ২৫ তারিখ, অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধে থেকে দুই রাজ্যের উপকূলীয় এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে যশ। নামকরণকারী দেশ ওমান। আবহাওয়া দফতররের অনুমান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, শঙ্করপুর সমুদ্র সৈকতে। অন্যদিকে, ওড়িশার বালেশ্বর উপকূলেও ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে।


করোনা মহামারীতে তছনছ দেশ। তারমধ্যে, দেশের পশ্চিম প্রান্তে তওতের বিধ্বংসী রূপ। লণ্ডভণ্ড গুজরাত, মহারাষ্ট্রের উপকূল এলাকা। বহু প্রাণ গিয়েছে। ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য সবুজ। সেই রেশ এখনও কাটেনি। তারমধ্যেই এবার যশের ভ্রুকুটি। তবে, এর সঙ্গে বর্ষা আগমনের কোনও সম্ভাবনা নেই।


আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এবার নির্ধারিত সময়ের একটু আগেই কেরলে বর্ষা আসতে পারে। ১ লা জুনের বদলে, ৩১শে মেতেই বর্ষা ঢুকে যাবে। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও ২২শে মে-র বদলে, ২১ তারিখই বর্ষর আগমনের সম্ভাবনা। সেই হিসাব মতো, একটু আগে এরাজ্যেও বর্ষা ঢুকে যেতে পারে। তবে, আগামী কয়েকদিন অস্বস্তিকর গরম থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের জেলগুলিতে বৃষ্টি বাড়বে।