নয়াদিল্লি: এবার ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আনতে চলেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। 


তেলঙ্গানার বায়োলজিক্যাল-ই লিমিটেডের সঙ্গে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হবে জ্যানসেন ভ্যাকসিন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনের তরফে। 


মার্কিন বহুজাতিক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আমাদের বিশ্বাস অদূর ভবিষ্যতে বায়োলজিক্যাল ই বিশ্বের ভ্যাকসিন সরবরাহ নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হতে চলেছে। ভ্যাকসিন বণ্টনের আগে, এটা নিশ্চিত করা হবে যাতে এর সরবরাহে কখনও টান না পড়ে। এর জন্য একাধিক মহাদেশের বিভিন্ন দেশে একযোগে এই ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হবে।


ইতিমধ্যেই মার্কিন মুলুকে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন। অনুমোদন মিলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতেও। 


গত ৫ এপ্রিল, জনসন অ্যান্ড জনসনের তরফে জানানো হয়েছিল, সিঙ্গল ডোজ জ্যানসেন ভ্যাকসিন নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে তারা। 


গত ৭ মে, ভারতে জনসন অ্যান্ড জনসনের কোভিড ভ্যাকসিন ‘জ্যানসেন’-এর ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়। 


দেশের ৬ জায়গায় হবে ‘জ্যানসেন’-এর ট্রায়াল। তার মধ্যে রয়েছে কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতাল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মিলেছে এথিক্স কমিটির ছাড়পত্র। ট্রায়াল হবে ১০০জনে স্বেচ্ছাসবকের ওপর। 


পিয়ারলেস হাসপাতাল সূত্রে খবর, মাইনাস ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে এই ভ্যাকসিন। 


ভারত ইতিমধ্যেই কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন ও স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে। সেগুলি সবই ডবল ডোজ ভ্যাকসিন। ‘জ্যানসেন’ দিতে হবে মাত্র একটি ডোজ। 


করোনা সেকেন্ড ওয়েভে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা একদিকে যেমন মারাত্মক বেড়েছে, ঠিক উল্টোদিকে দেশে তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিনের সঙ্কট। 


গতকালও, এই নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট-- সর্বত্র ভর্ৎসিত হতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। গতকালও দিল্লি হাইকোর্ট তীব্র সমালোচনা করে কেন্দ্রকে। 


হাইকোর্ট বলে, ভ্যাকসিনের অভাব রয়েছে। কিন্তু আপনারা সেটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। আপনাদের অফিসাররা বাস্তব থেকে দূরে ‘আইভরি টাওয়ারে’ বাস করছেন। এক পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করে দিল্লি হাইকোর্ট।


রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি-র ট্রায়াল ব্যাচের ভ্যাকসিন তৈরি করছে দিল্লির সংস্থা প্যানাসিয়া বায়োটেক। অনুদান চেয়ে তাদের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে, বিচারপতি মনমোহন ও বিচারপতি নবীন চাওলার পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্রের অফিসাররা কি দেখতে পাচ্ছেন না, দেশে এত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে! আমরা ভ্যাকসিনের অভাবে ভুগছি। আপনাদের অফিসাররা পরিস্থিতি উপলব্ধি করছেন না। মামলার প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।