কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় দুই জেলায় শুরু হল সতর্কতা প্রচার। পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলে মাইকে প্রচার। মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি। প্রচার চালানো হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ও মৈপীঠ নদী বাঁধ এলাকাতেও। তৈরি রাখা হচ্ছে সাইক্লোন সেন্টার।


ঠিক এক বছর আগে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। ঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে যায় একাধিক জেলা। ভেঙেচুরে যায় অসংখ্য ঘরবাড়ি। উপড়ে পড়ে গাছ। বহু জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই, এবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ভ্রুকুটি। যার পূর্বাভাস পাওয়া মাত্র, আগাম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন।


ইতিমধ্যেই দিঘা, মন্দারমণির সমুদ্র উপকূলে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। সমুদ্রের বুকে ছুটে বেড়াচ্ছে কোস্ট গার্ডও। কোনও ট্রলারকে সমুদ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। যে মত্স্যজীবীরা সমুদ্রে চলে গিয়েছেন, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে কোস্ট গার্ড। তৈরি রাখা হচ্ছে স্পিড বোট ও অন্যান্য সরঞ্জাম। পরিস্থিতি বেগতিক হলে, যাতে নিচু এলাকা ও সমুদ্র তীরবর্তী জায়গার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যেতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য  সাইক্লোন সেন্টারগুলি স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। সেখানে শুকনো খাবার, স্যানিটাইজার ও মাস্ক মজুত রাখা হচ্ছে।


ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর মহকুমাশাসকের দফতরে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। ইতিমধ্যেই কুলতলি ও মৈপীঠে মাইকে প্রচার শুরু হয়েছে। যেখানে অস্থায়ী নদী বাঁধ রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের সাইক্লোন সেন্টারে চলে যেতে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। গত বছর আমফান বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল হ্যাম রেডিও। এবারও তাঁদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের।  আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে শনিবার একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। সেই নিম্নচাপ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে, শক্তিসঞ্চয় করে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে।