নয়াদিল্লি: বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগ 'পতঞ্জলি'র বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে আদালত অবমাননার নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও নির্বিকার। এবার যোগগুরু রামদেবকে তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং এহসানউদ্দিন আমানুল্লার বেঞ্চ রামদেবকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে। 'পতঞ্জলি'র ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণকেও হাজির হতে বলা হয়েছে। (Ramdev Summoned by SC)


এর আগে, গত মাসেই 'পতঞ্জলি'কে তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত। আদালতে নিজেদের পণ্য সংক্রান্ত যে তথ্য জমা দিয়েছিল তারা এবং নিজেদের পণ্যের ঔষধি কার্যকারিতা নিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছিল তারা, সেই নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করা হয় তাদের। কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননায় পদক্ষেপ করা হবে না, সেই নিয়ে নোটিস ধরানো হয় বালাকৃষ্ণকে। নোটিস যায় রামদেবের কাছেও। (SC Summons Ramdev)


কিন্তু তার পরও আদালতে সেই নিয়ে 'পতঞ্জলি'র তরফে কোনও হলফনামা দেওয়া হয়নি। অথচ সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী নির্দেশের পরই সাংবাদিক বৈঠক করে তারা। তাই আদালতকে কেন জবাব দেওয়া হল না, প্রশ্ন তুলেছে আদালত। বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন, "এখনও পর্যন্ত কেন কোনও প্রতিক্রিয়া এল না? ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে আদালতের পরবর্তী শুনানিতে হাজির থাকতে হবে।"


আরও পড়ুন: Lok Sabha Election: রাজীব কুমার অপসারিত, আপাতত DGP-র দায়িত্বে বিবেক সহায় | ABP Ananda LIVE


ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)-এর দায়ের করা একটি মামলার শুনানিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এই নির্দেশ দেয় আদালত। IMA-র তরফে 'পতঞ্জলি'র বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনী প্রচার নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত 'পতঞ্জলি' আয়ুর্বেদ কোনও পণ্য নিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না বলে জানায় আদালত। বাজারচলতি কোনও ওষুধের বিরুদ্ধে 'পতঞ্জলি' কোনও মন্তব্য করতে পারবে না বলেও জানানো হয়। 


আদালতের তরফে যে নোটিস ধরানো হয়, তাতে বলা হয়েছিল, রামদেব এবং বালাকৃষ্ণ, দু'জনই ঔষধি এবং নিরাময় আইনের ধারা ৩ এবং ৪ লঙ্ঘন করেছেন, যাতে কিনা ঔষধ নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের নিদান রয়েছে। 'পতঞ্জলি'র সহ-প্রতিষ্ঠাতা রামদেবের বিরুদ্ধেই বা কেন কোনও পদক্ষেপ করা হবে না, জানতে চায় আদালত। 'পতঞ্জলি'র হয়ে আদালতে সওয়াল করছিলেন মুকুল রোহাতগি। রামদেবকে কেন টানা হচ্ছে প্রশ্ন তোলেন তিনি। জবাবে আদালত জানায়, আগে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। তার পর বাকিটা দেখা যাবে।