লখনউ : যে উত্তরপ্রদেশ শুরু থেকে নরেন্দ্র মোদিকে দু হাত ভরে আসন দিয়েছে, সেই উত্তরপ্রদেশই এবার বড় ধাক্কা দিয়েছে মোদিকে। রামমন্দির প্রতিষ্ঠা পরবর্তীতে এমন ফল বোধ হয় দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি বিজেপি। ৮০ আসনের উত্তরপ্রদেশে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে  অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে বিজেপি। ফলের পর দলের অন্দরে বারবার বিশ্লেষণের কথা উঠে এসেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেছেন, এই ফলের অন্যতম কারণ হল বিজেপির 'অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস'। এবার তারই অনুরণন শোনা গেল যোগী আদিত্যনাথের গলায়। 


রবিবার  এই সভায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ছাড়াও হাজির ছিলেন সেখান থেকে নির্বাচিত সাংসদ এবং বিধায়করা এবং  দলের কর্মকর্তারা। সেখান থেকেই কার্যত ২০২৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির শঙ্খনাদ বেজে গেল।  জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে রাজ্য ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী জোর দিয়ে বলেন রাজ্যে আবারও বিজেপির ফল ভাল করতে হবে । 


লখনউয়ের  সভায় যোগীর বক্তব্যে শোনা গেল সেই সব কথা, যা এতদিন মোদির সমালোচকরাই বলে এসেছেন।  রামমনোহর লোহিয়া জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সভায় যোগী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ২০১৪, ২০১৭, ২০১৯ এবং ২০২২-এ সে-রাজ্যে বিজেপি অসাধারণ ফল করেছিল। ২০১৪ সালের পরের নির্বাচনগুলিতে আমরা যত শতাংশ ভোট পেয়েছিলাম, এ বারও তার কাছাকাছি পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু কিছু ভোট অন্য দিকে চলে যাওয়া এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ভোটের ফল নিয়ে প্রত্যাশার কাছাকাছি পৌঁছতে পারেনি বিজেপি।  বড় ধাক্কা খেয়েছে। 


২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফলের অন্যতম কারণ হিসেবে যোগী দেখছেন জাত বিভাজনকে।  এই সভায় আদিত্যনাথ পার্টির নেতা-কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও সক্রিয় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে  যে কোনও ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার কথা বলেছেন।  উত্তরপ্রদেশে দলের এমন ফলাফল কেন হল, তার কারণ খুঁজতে একটি টাস্ক ফোর্স গড়েছিল বিজেপি। সেই কমিটির কাটাছেঁড়ায় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, জাতপাতের বিভাজন, সরকারি আমলাদের অসহযোগিতার কথা। আর সেই কথারই প্রতিফলন পাওয়া গেল এদিন যোগীর সভায়।  


২৭ এ উত্তরপ্রদেশে কি ফিরবে গেরুয়া শিবিরের বসন্ত? স্ট্র্যাটেজি বদলাবে বিজেপি ? 


আরও পড়ুন : 


সোমবার থেকেই শনির প্রকোপে কোন রাশি, কোন রাশির অর্থের ঝনঝনানি? এই সপ্তাহের রাশিফল