নয়াদিল্লি: বাবা আনন্দ সিংহ বিস্তের মৃত্যুতে শোকাহত যোগী আদিত্যনাথ সম্ভবত তাঁর শেষকৃত্যে থাকতে পারছেন না। আজ সকালে দিল্লির এইমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বিস্ত। আদিত্যনাথ যখন বাবার প্রয়াণের খবর পান, তখন ব্যস্ত ছিলেন কোভিড ১৯ সঙ্কট মোকাবিলায় ডাকা বৈঠকে। খবর পেয়েও তিনি বৈঠক ছেড়ে উঠে যাননি বলে জানিয়েছেন রাজ্যের এক শীর্ষ আমলা।
এক বিবৃতিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন চালু থাকায়, করোনাভাইরাস জনিত পরিস্থিতি সামলাতে ব্যস্ততার কারণে বাবার অন্ত্যোষ্ঠিতে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। বলেছেন, বাবার মৃত্যুসংবাদ বিরাট আঘাত আমার কাছে। চিরকাল তিনি আমায় সততা, কঠোর পরিশ্রম, স্বার্থত্যাগ, বিশ্বাসের পথে চলার শিক্ষা দিয়েছেন। তাঁর জীবনের শেষের মূহূর্তগুলোয় পাশে থাকতে চেয়েছিলাম, কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ২৩ কোটি মানুষকে রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে পারলাম না। করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকবিলায় লকডাউন বহাল থাকার জন্য আগামীকালের শেষকৃত্যেও থাকতে পারব না। মা, আমার আত্মীয়স্বজনদেরও বলব তাঁরা যেন শেষকৃত্য করেন লকডাউনের নিয়মবিধি মেনেই। লকডাউন শেষ হওয়ার পর আমি যাব।
গত মাসে ৭১ বছর বয়সি বিস্ত কিডনির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন এইমসে। তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উত্তরাখন্ডের পৌরি জেলায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে।


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা, কমলনাথ সহ একাধিক নেতা আদিত্যনাথকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদবও।