নয়াদিল্লি: ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর পিছনে গত মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের ধর্মীয় সভার ভূমিকাকে দায়ী করে দিনকয়েক আগে বেশ কয়েকটি আপত্তিকর ট্যুইট করার অভিযোগ ওঠে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (ইউএই) প্রবাসী ভারতীয় জনৈক সৌরভ উপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি গোটা মুসলিম সম্প্রদায়কেই ওই ধর্মীয় সমাবেশের প্রসঙ্গ তুলে দায়ী করেন। এ নিয়ে ট্যুইটারে তাঁর সঙ্গে বিতর্ক হয় আরেক ব্য়ক্তির। অভিযোগ, সৌরভ তাঁকে আজেবাজে কথা বলেন। তবলিঘিরা লোকের গায়ে থুতু ছেটায় বলে অভিযোগ করে সৌরভ প্রশ্ন করেন, শান্তিপূর্ণ লোকজন কি থুতু ছেটায়। ২০২০-তে এ কি নতুন জেহাদের ধরন!
তবলিঘিদের ‘মৌলবাদী ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী; তকমা দিয়ে গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ। পরে সৌরভ মধ্যপ্রাচ্যে কীভাবে হিন্দুরা অত্য়াচারের টার্গেট হচ্ছেন, ট্যুইটে তার উল্লেখ করেও দাবি করেন, ওই অঞ্চল আজ যে অবস্থায় আছে, সেটা ‘ভারতীয়রা শূন্য থেকে শুরু করে দুবাইয়ের মতো শহর গড়ে তুলেছিলেন বলেই’।
এরপরই সৌরভকে আসরে নেমে জবাব দেন আরব আমিরশাহির রাজ পরিবারের সদস্য যুবরানি হেন্দ আল কাসিমি। সৌরভ ট্যুইটারে ‘ইসলামোফোবিক’ অর্থাত ‘ইসলাম সম্পর্কে আতঙ্ক ছড়ানো পোস্ট’ করেছেন বলে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। সৌরভের ট্যুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে কাসিমি হুঁশিয়ারি দেন, ইউএই-তে যে ‘খোলাখুলি জাতবিদ্বেষ প্রকাশ, বিভেদমূলক আচরণ করবে, তাকে জরিমানা করে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে’।


সৌরভ সম্ভবত ট্যুইটগুলি মুছে ফেলেন। সেগুলি আর দেখা যাচ্ছে না।
কাসিমি আরও জানান, ইউএই-র ক্ষমতাসীন পরিবার ‘ভারতীয়দের বন্ধু’ অবশ্যই, কিন্তু লোকটির উগ্র মনোভাব ‘গ্রহণযোগ্য নয়’। সবাই এখানে কাজ করে, অর্থ উপার্জন করে, কেউই কাজ না করে কিছু পায় না। যে দেশে থেকে রুটি-রুজির সংস্থান করছ, তাকে ঘৃণা, তুচ্ছ করে দেখা! এটা কারও নজর এড়াবে না।