নয়াদিল্লি: সম্পর্ক ছিল অনেক দিনের। সেই সম্পর্ককে পরিণতি দেন তাঁরা। বাড়ির অমতেই বিয়ে করেন তরুণ-তরুণী। কিন্তু দলিতকে বিয়ে করার ‘অপরাধে’ দাদার হাতেই খুন হতে হল তরুণীকে। শুধু তাই নয়, খুন করে তরুণীর দেহ লোপাট করা হয় বলে অভিযোগ। নৃশংস এই ঘটনার সাক্ষী থাকল যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ।


গত ১২ জুন উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের বাসিন্দা অর্জুন কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় মৈনপুরির বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সি চাঁদনি কাশ্যপের। পুলিশ সূত্রে খবর, ৮ বছরের সম্পর্ক ছিল তাঁদের। প্রথম থেকেই এই সম্পর্কে আপত্তি ছিল চাঁদনির পরিবারের। পরিবারের অমতেই বিয়ে করেন তাঁরা। বিয়ের পর দিল্লির তিলকপুরি এলাকায় থাকতে শুরু করেন দম্পতি। কিন্তু চাঁদনির দাদা বারবার মৈনপুরিতে ফিরে আসতে বলেন। প্রথমে রাজি না হলেও শেষমেশ নিজের বাড়িতে যান চাঁদনি।

অর্জুনের দাবি, গত ১৭ নভেম্বর চাঁদনির পরিবার তাঁকে মৈনপুরিতে নিয়ে যায়। ২০ তারিখ ফোনে চাঁদনি জানান, তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মারধর করছেন। দিল্লিতে ফিরে যেতে দিচ্ছেন না তাঁরা। তিনি জানান, কথা বলতে বলতেই ফোন কেটে যায়। তারপর ফোনে তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। ২২ নভেম্বর ময়ূর বিহার থানায় চাঁদনির পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান অর্জুন। এরপর চাঁদনিকে খুঁজতে তাঁর গ্রামের বাড়িতে যান তিনি। কিন্তু চাঁদনির পরিবার জানায়, তিনি নিজেই দিল্লিতে গিয়েছেন।

কিন্তু তারপরেও মেলেনি চাঁদনির খোঁজ। দিল্লিতে ফেরেননি তরুণী। শুক্রবার ওই তরুণীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ১০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর মাঠ থেকে চাঁদনির দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর দাদা গুলি করে খুন করেছে তাঁকে। তারপর মাটিতে তাঁর দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছে। চাঁদনির দাদার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ তিনি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।