পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক জন দলিত কিশোর একটি খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে বলে অভিযোগ। তাদের সকলের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর। ওই খোলা জায়গাটি উচ্চবর্ণের খেলার মাঠ বলে পরিচিত। জায়গাটি পাশে একটি মন্দির রয়েছে। সেখানে মলমূত্র ত্যাগের ঘটনায় ক্ষু্ব্ধ হয়ে ওঠেন উচ্চবর্ণের লোকজন। অভিযোগ, ৬ জন উচ্চবর্ণের যুবক ওই কিশোরদের একটি বস্তা ও কোদাল দিয়ে মলমূত্র পরিষ্কারের নির্দেশ দেন এবং ওই কাজ করতে কিশোরদের বাধ্য করা হয়। গ্রামে ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দলিতদের একাংশ বিক্ষোভ শুরু করে। পথ অবরোধ করেন তাঁরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বিক্ষোভ তুলে নেন দলিতেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিত এক কিশোরের মা মারুভাথুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আর অবিনেশ (২০), এন সিলামবরসাম (২৪) এবং এস সেলভাকুমার (২৩)-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, প্রকাশ্যে অবমাননাকর মন্তব্য-সহ বেশ কিছু অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘১১ থেকে ১৫ বছর বয়সি পাঁচ দলিত কিশোর তাদের গ্রামে খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করছিল। সেই সময় উচ্চবর্ণের তিন যুবক তাদের ঘিরে ধরে মারতে শুরু করে। তারা ওই দলিত কিশোরদের খালি হাতে মলমূত্র পরিষ্কার করতে বাধ্য করে। এই কিশোরদের চটের ব্যাগে ময়লা নিয়ে ১০০ মিটার হেঁটে গিয়ে একটি খালের কাছে সেটি ফেলতে বাধ্য করা হয়। ওই কিশোররা বাড়ি গিয়ে বাবা-মাকে গোটা ঘটনা জানায়। এরপরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই ঘটনার প্রতিবাদে জানিয়ে পথ অবরোধ করে দলিতদের একটি সংগঠন। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছন পেরাম্বালুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ সি কার্তিকেয়ন ও মরুবাথুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের জেরা করা হয়। এরপর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।