উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস! মশাবাহিত এই রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে যখন দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি, তখন কর্ণাটকে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে জিকা ( Zika virus)। কর্ণাটকের চিক্কাবল্লপুর জেলা থেকে মশার স্যাম্পেলে মিলেছে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব। কর্ণাটকের Talakayalabetta নামে একটি গ্রাম থেকেই এই নমুনা পাওয়া গিয়েছে। তারপরই কর্ণাটকে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে।  বেঙ্গালুরু থেকে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চিক্কাবল্লপুরে যান। তাঁদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে।  যেখান থেকে ওই মশা মিলেছে, তার চারপাশে ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।


রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের ৬৮ টি জায়গা থেকে জ্বরে আক্রান্ত ব্য়ক্তি ও গর্ভবতী মহিলাদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে ও তা  জিকা ভাইরাসের জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ওই এলাকায় তিন রোগী জ্বরে ভুগছেন। তাঁদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁরা তিন জন এখন স্থিতিশীল। জানা গিয়েছে, ডিব্বুরহাল্লির একজন ৩০ বছর বয়সি পুরুষ, তালাকায়ালাবেট্টা এলাকার ৩৮  বছর বয়সি এক মহিলা এবং বাছানাহাল্লির এক ৫০ বছর বয়সি মহিলা উপসর্গসহ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের রক্তের নমুনা নিশ্চিত করার জন্য পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে (এনআইভি) পাঠানো হয়েছে । 


 জিকা ভাইরাসের উপসর্গ

জিকা ভাইরাস এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। ১৯৪৭ সালে আফ্রিকার উগান্ডায় প্রথম এর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। জিকা ভাইরাসের উপসর্গগুলির মধ্যে প্রথম হল জ্বর। তার সঙ্গে সারা গায়ে  ফুসকুড়ি, ব়্যাশ,  কনজাঙ্কটিভাইটিস, পেশী এবং অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, অস্বস্তি এবং মাথাব্যথা। বর্তমানে, এই সংক্রমণের জন্য কোনও ভ্যাকসিন বা নির্দিষ্ট চিকিৎসা উপলব্ধ নেই বলেই জানা যায়।


চিক্কাবল্লপুর জেলা থেকে মশার নমুনায় জিকা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়ার পর , কর্ণাটক স্বাস্থ্য বিভাগ তালাকায়লাবেট্টা, ভেঙ্কটাপুরা, ডিব্বুরহাল্লি, বাচনাহাল্লি এবং ভাদদাহল্লিতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, জানিয়েছেন চিক্কাবাল্লাপুরের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ এসএস মহেশ কুমার।


এখনও পর্যন্ত, পরীক্ষার জন্য এই জেলা থেকে ৩৮  টি রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩১ জন গর্ভবতী মহিলার। স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন "আরও দুই গর্ভবতী মহিলার নমুনা সংগ্রহের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যাঁরা তাদের নিজ গ্রামে চলে গিয়েছেন" ।