মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: দেওয়াল দখল নিয়ে দলাদলি নয়। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে সম্প্রীতির নজির দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকায়। সাগরভাঙায় একই বাড়ির দেওয়ালে আঁকা তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএমের প্রতীক, প্রার্থীর নাম।


ঘাসফুলের ছবির পাশেই পদ্ম। বামেদের দেওয়াল লিখনের পাশেই, তৃণমূলের স্লোগান লেখা ৷ একই দেওয়ালে একদিকে সবুজ, একদিকে গেরুয়া। আরেকদিকে লাল রঙের পোচ ৷


পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দেওয়াল লিখছেন বাম-বিজেপি-তৃণমূল কর্মীরা। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও, দেওয়াল লিখন ঘিরে ফুটে উঠেছে সৌহার্দ্যের ছবি। এই দৃশ্য পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের। 


র্গাপুরের সাগরভাঙায়, একই দেওয়ালে, তৃণমূল-বিজেপি-বামেদের দেওয়াল লিখন। ভোটের আগে, যেখানে দেওয়াল দখল, একে অপরের বিরুদ্ধে দেওয়াল মুছে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তখন সাগরভাঙায় ঘটনা একেবারেই বিরল। 


দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘লেখার অধিকার সবার আছে। সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক খুবই ভালো।’ দুর্গাপুরের সিপিএম নেতা সূর্যায়ন চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘সবার মধ্যেই সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ। আমাদের মধ্যে দেওয়াল দখল, মুছে দেওয়া এমন কোনও ঘটনা হয় না।’’


দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা ভৈরব বাউড়ি জানান, একাধিক দল একসঙ্গে প্রচার করে। সাগরভাঙা দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত। ২০১৬-এ এই কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হন সিপিএমের সন্তোষ দেবরায়। কিন্তু, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে, এই বিধানসভা কেন্দ্রে বাম ও তৃণমূলের থেকে এগিয়ে ছিল বিজেপি। একুশে সমীকরণ কোথায় দাঁড়ায়, জানা যাবে ২ মে।


ঠিক এর উল্টো চিত্র দেখা গেল নদিয়ার শান্তিপুরে।  রাতের অন্ধকারে তৃণমূল প্রার্থীর দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাগচীবাগান এলাকায়।


তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল রাতে শান্তিপুরের তৃণমূল প্রার্থী অজয় দে-র নামে লেখা দেওয়ালে কাদা লেপে দেয় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এর প্রতিবাদে আজ সকালে এলাকায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দেওয়াল লেখা মোছার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।