নয়াদিল্লি: অগাস্ট মাসেই ভারতে আসতে চলেছে ১২ বছর ঊর্ধ্বদের জন্য ভ্যাকসিন। এমনই আশার কথাই শোনালেন ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশনের চেয়ারম্যান ডা. এন কে আরোরা। আজ, রবিবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই জাইডাস ক্যাডিলা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষ হবে। তাই আশা করা যায় অগাস্ট মাস থেকেই পাওয়া যাবে এই টিকা।


এন কে আরোরা বলেন, আশা করা যায় জুলাইয়ের মধ্যেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষ হবে। অগাস্ট মাস থেকে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য টিকাকরণ শুরু করা যাবে। একইসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, সরকারের লক্ষ্য আগামী মাসে প্রতিদিন ১ কোটি দেশবাসীর টিকাকরণের ব্যবস্থা করা। ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে টিকাকরণের যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে তা পূরণ করতেই এই সিদ্ধান্ত নিলে চলেছে সরকার। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত গুজব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে যেসব টিকা ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলি ৯৫ থেকে ৯৬ শতাংশ কার্যকরী।


ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশনের চেয়ারম্যানের কথায়, “আইসিএমআর জানিয়েছে তৃতীয় ঢেউ দেরিতে আসবে। ৬ থেকে ৮ মাস সময় আছে আমাদের হাতে। এর মধ্যে প্রত্যেকের টিকাকরণ হওয়ার সময় রয়েছে। তাই দৈনিক ১ কোটি দেশবাসীকে টিকা দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। তাই প্রত্যেকের টিকা নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসা উচিত। টিকা নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। সারা দেশে ভ্যাকসিন নিয়ে ভুল তথ্য, গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকের ভয়ও রয়েছে। তাঁদের মনে হয়, ভ্যাকসিন সুরক্ষিত নয় বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ভ্যাকসিন ৯৫ থেকে ৯৬ শতাংশ কার্যকরী। এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়ে সামান্য জ্বর বা ব্যথা ছাড়া অন্য কোনও সমস্যা হয়নি। যত জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন তার মধ্যে ৪ থেকে ৫ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে অ্যালার্জি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য।“


এইমস দিল্লির ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া এএনআইকে বলেন, "জাইডাস ক্যাডিলা ডিএনএ ভ্যাকসিন। এটা একেবারেই ভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়। আমাদের গর্ব করা উচিত। কারণ এই ধরনের ভ্যাকসিন আগে দেশে কখনই তৈরি হয়নি। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সব তথ্য নিয়ামক সংস্থাকে জানিয়ে প্রয়োগের জন্য আবেদন করবে জাইডাস ক্যাডিলা।"