নিউটাউন: কাউকে ঘর বা বাড়ি ভাড়া দিতে হলে ভাড়াটে সম্পর্কে আগে তথ্য জমা দিতে হবে থানায়। পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর মিলবে অনুমতি। নিউটাউনে পাঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টারের এনকাউন্টারের পর ভাড়া দেওয়ার নিয়মে কড়াকড়ি করল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।
নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে এসটিএফ-এর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পাঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার। ফ্ল্যাটের মধ্যে চলে গুলির লড়াই। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ফ্ল্যাটে। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের এক পুলিশ অফিসার। ওই আবাসনে লুকিয়ে রয়েছে পঞ্জাবের কুখ্যাত গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে স্পেশাল অপারেশন শুরু করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF)। ঘটনায় জয়পাল ভুল্লার ও জয়প্রীত সিং কাড়ারের এনকাউন্টার ফের আবাসনের নিরাপত্তার প্রশ্নটিকে সামনে এনেছে।
এই প্রেক্ষিতেই সল্টলেকে আবাসন, বাড়ি বা ফ্ল্যাট, গেস্ট হাউস ও হোটেলে ভাড়া দেওয়ার নিয়মে কড়াকড়ি করল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। রবিবার বিধাননগর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বি জে ব্লকে আবাসিক, হোটেল ও গেস্ট হাউস মালিকদের নিয়ে একটি আলোচনা সভায় অংশ নেন সল্টলেকের পুলিশ কমিশনার।
সেখানেই পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এখন থেকে সল্টলেক এলাকায় কাউকে ঘর ভাড়া দিতে হলে ভাড়াটে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে টেনেন্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে বাড়ির মালিকের। এরপর পুলিশ সেই ভাড়াটে সম্পর্কে সব তথ্য ভেরিফিকেশন করবে। সেইমতো পরামর্শ দেবে বাড়ির মালিককে। ইতিমধ্যে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের আওতাধীন সব থানায় ভাড়াটে সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য আলাদা সেল তৈরি করা হয়েছে।
পুলিশ খুন করে পুলিশ পরিচয় দিয়েই সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে লুকিয়েছিল পঞ্জাবের দুই কুখ্যাত গ্যাংস্টার। ধৃত ভরত কুমারকে জেরা করে এ রাজ্যে দুই গ্যাংস্টারের রুটম্যাপ তৈরি করছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, জেরায় ভরত কুমার জানিয়েছেন, নিউটাউনের সুখবৃষ্টি আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার আগে সল্টলেকের সেক্টর টু-তে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সংলগ্ন একটি গেস্ট হাউসে ওঠে ভুল্লার ও তার সঙ্গী জসপ্রীত। সেখানে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেয় তারা। এরপর গেস্ট হাউসের ঘরটিকে সিল করে দেয় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় গেস্ট হাউসের রেজিস্টার ও সিসিটিভি ফুটেজ। পঞ্জাবে গিয়ে সুমিত কুমারকে জেরা করে বিধাননগর কমিশনারেটের একটি দল। সব মিলিয়ে নিউটাউনকাণ্ড কার্যত তোলপাড় ফেলে দেয় শহরে।