গুয়াহাটি: ভাত-কাপড়ের দিন শেষ। নিজের যোগ্য়তায় ওইটুকু জোগাড় করে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েইছে। কিন্তু মাসে বার দুয়েক একটু কেনাকাটা, একটু বাইরে খাওয়া-দাওয়া, এসব না হলে চলে না। কিন্তু একা একা সেই সব জমে না, জোড়ায় গেলে তবেই না আনন্দ! সাতপাকে বাঁধা পড়ার আগে তাই হবু স্বামীকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নিলেন কনে (Pizza Loving Bride)। তার পর পা বাড়ালেন নতুন জীবনে। 

Continues below advertisement

চুক্তি সই করে সাতপাকে অসমের যুগল

অসমের (Assam News) বাসিন্দা শান্তি প্রসাদ এবং মিন্টু রাই। কনে শান্তির বয়স ২৪, বর মিন্টুর বয়স ২৫। জুন মাসে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। বিয়ের খুঁটিনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলেও ধরেন (Viral Video)। আর তাতেই উঠে এসেছে বিশেষ সেই মুহূর্ত, যেখানে পেল্লাই আকারের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে দেখা গিয়েছে বর-কনেকে। তবে তার রহস্য উন্মোচন হয় তাঁদের বিয়ের ফোটোগ্রাফির দায়িত্বে থাকা জনৈক চিত্রীর ক্যামেরায়। 

Continues below advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। জানা যায়, অগ্নিসাক্ষী করে সাতপাকে বাঁধা পড়ার আগে মিন্টুকে বেশ কিছু শর্ত ধরান শান্তি। কী সেই শর্ত? মাসে অন্তত একবার পিৎজা, ১৫ দিন অন্তর শপিং, রবিবার ব্রেকফাস্ট তৈরির দায়িত্ব মিন্টুর, স্ত্রীকে ছাড়া গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি করতে পারবেন না তিনি (Marriage Contract)।

চুক্তি স্বাক্ষরে কোনও আপত্তি করেননি মিন্টুও। বরং সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজের শর্তরও তুলে ধরেন তিনি। জানিয়ে দেন, রোজ একবার জিমে ঢুঁ মারতেই হবে শান্তিকে। শাড়ি পরতে হবে রোজ। তবে রক্ষণশীলতা থেকে নয়, শাড়িতে শান্তিকে সবচেয়ে সুন্দর দেখায় বলেই ওই শর্ত রাখেন তিনবি, যুক্তি মিন্টুর। 

 
 

আরও পড়ুন: Laksh Singh Limbachiya: জাদুর দুনিয়ায় হাজির নয়া হ্যারি পটার, একরত্তি লক্ষ্যের ছবি পোস্ট ভারতী-হর্ষের

গত ২২ জুন বর-কনেবেশী শান্তি এবং মিন্টুর চু্ক্তি স্বাক্ষরের ভিডিওটি আপলোড করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ যাবৎ সাড়ে চার কোটির বেশি মানুষ সেটি দেখেছেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলেও ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিওটি। দ্রুত গতিতে সেটি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। বন্ধুরা ওই চু্ক্তি সাজাতে সাহায্য করেন বলে জানিয়েছেন শান্তি এবং মিন্টু। 

সাড়ে চার কোটির বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন

নবদম্পতি জানিয়েছেন, কমার্স পড়তে গিয়ে পাঁচ বছর আগে আলাপ তাঁদের। একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও ছিলেন। একদিন ক্লাসে যেতে পারেননি শান্তি। মিন্টুর কাছে সাহায্য চান।  সেই থেকেই বন্ধু হয়ে ওঠা। এর পর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা। ২০১৮ সালে প্রথমবার একসঙ্গে সময় কাটাতে বেরোন তাঁরা। ক্লাস না করে পিৎজা খেতে যান। এর পর যতবারই বাইরে গিয়েছেন, পিৎজা বলতে পাগল শান্তি ততবারই পিৎজা খেতে চেয়েছেন। আর না চাইতেও তা খেতে হয়েছে মিন্টুকে। বিয়ের পরও পিৎজা প্রীতি ছাড়তে নারাজ শান্তি। বিশেষ করে পিৎজার সঙ্গে যখন তাঁদের প্রথম বার সময় কাটানোর স্মৃতি জড়িয়ে। তাই কোনও ভাবে যাতে পিৎজা খাওয়া বন্ধ করতে না পারেন কেউ, তার জন্যই চুক্তিতে হবু স্বামীকে সই করিয়ে নেন বলে জানিয়েছেন তিনি।