Atul Subhash Death Case: স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের অত্যাচারকে দায়ী করে ৩৪ বছর বয়সী বেঙ্গালুরুর আইটি কর্মী অতুল সুভাষ আত্মঘাতী হয়েছেন। রেখে গিয়েছেন ২৪ পাতার দীর্ঘ সুইসাইড নোট এবং মৃত্যুর আগে করা একটি রেকর্ডেড ভিডিয়ো। আর তাঁর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে (Atul Subhash Death Case) ঘিরেই তোলপাড় গোটা দেশ। ৯ ডিসেম্বর মারা যান অতুল, আর আজ ১১ ডিসেম্বর তাঁর মা-বাবা সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন। কিন্তু ক্যামেরার সামনে কথা (Bengaluru Techie Death) বলতে বলতেই জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন মৃত অতুল সুভাষের মা। সাংবাদিকদের সামনে বয়ান জানাচ্ছিলেন তারা, কিন্তু ছেলের শোকে আর নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরে লুটিয়ে পড়েন অতুলের মা।
৩৪ বছর বয়সী অতুল সুভাষ ছিলেন বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে তিনি কাজ করতেন। স্ত্রীর অত্যাচারে, হেনস্থার শিকার হয়ে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন, এমনটাই জানিয়ে গিয়েছেন সুইসাইড নোটে। আর তাঁর মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন একদিকে তাঁর বাবা-মা, আবার একইসঙ্গে গভীর শোক তাদের বিধ্বস্ত করেছে। অতুলের বাবা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তাঁর উপর এতটাই অত্যাচার হত যে সে বাবা-মাকেও কিছু জানাতে পারত না। তিনি বলেন, 'ও আমাদের কোনোভাবেই দুঃখ দিতে চাইত না'। যখন তাদের জিজ্ঞেস করা হয় যে অতুলের মৃত্যু তাহলে পরিকল্পিত হত্যা ?, উত্তরে তাঁর বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'কাউকে নির্যাতন করা অত্যাচার করা হত্যা করার মতই সমান অপরাধ'।
পাটনা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরেই সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে শুরু করেন অতুলের বাবা-মা। আর এই সময়েই বিমানবন্দরের মধ্যেই কথা বলতে বলতে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মৃত আইটি কর্মী অতুল সুভাষের মা। কথা বলার সময় তিনি কেবলই বলছিলেন যে তাঁর ছেলের উপর অত্যাচার করা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে অতুল সুভাষের বাবা জানিয়েছেন, 'উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের আদালতে ৪০ বার যেতে হয়েছে অতুলকে। একটার পর একটা মিথ্যে মামলা দায়ের করা হচ্ছিল তাঁর উপর। কী পরিমাণ দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে গিয়েছে আমার ছেলে তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। কিন্তু আমাদের কখনও কিছু বুঝতে দেয়নি।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।