কলকাতা: প্রপোজ ডে মানে অনেকের কাছেই যুগলের একে অপরকে প্রপোজ করা। কিন্তু এর বাইরেও প্রপোজ হয়। কারণ প্রপোজ মানেই তো প্রস্তাব দেওয়া। তেমনই প্রস্তাব দিয়েছিলেন এক ব্যবসায়ী। ফ্লাইটে বসে একটি ন্যাপকিনে লিখে তিনি এই প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব দেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে (Ashwini Vaishnaw)। প্রপোজালে উল্লিখিত ছিল একটি বিজনেস আইডিয়ার। আর সেই প্রস্তাব পড়েই পছন্দ হয়ে যায় রেলমন্ত্রীর। 


সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরই অক্ষয় সাতনলিওয়ালা (Akshay Satnaliwala) নামের ওই ব্যবসায়ীকে ডেকে পাঠানো হয় পূর্বরেলের হেডকোয়ার্টার থেকে। সেখানে কর্তাদের সঙ্গে মিটিং করেন অক্ষয়। প্রসঙ্গত, অক্ষয় কঠিন বর্জ্য পুনর্নবীকরণ (সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট)-এর ব্যবসা করেন। এর জন্য তাঁকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বর্জ্য পাঠাতে হয়। এই পরিবহনের জন্য সড়কপথ ব্যবহার করতে হয় তাঁকে। কিন্তু তাতে খরচ বেশ অনেকটাই। আর তাই খরচ কমাতেই রেল পরিবহনের কথা তাঁর মাথায় আসে। সেই অনুযায়ী নিজের প্রস্তাব দিয়েছিলেন অক্ষয়।


 



(ছবি সৌজন্য - পিটিআই)


দিল্লি কলকাতা ফ্লাইটে ছিলেন অক্ষয়


অক্ষয় কলকাতার ব্যবসায়ী। কলকাতা ও দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে তিনি কঠিন বর্জ্য ছত্তিশগড়ের রায়পুর ও ওড়িশার রাজগঞ্জপুরসহ বিভিন্ন ক্লাস্টার এলাকায় পাঠান। সেটা সড়কপথেই করতে হয়। যাতে খরচ বেশি। এই খরচ কমাতেই রেলের সাহায্য নেওয়ার কথা মাথায় আসে তাঁর। গত ২ ফেব্রুয়ারি অক্ষয় দিল্লি কলকাতার ফ্লাইটে করে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। সেই একই ফ্লাইটে ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেই সময় হাতের কাছে ন্যাপকিন ছাড়া আর কিছুই ছিল না। ওই ন্যাপকিনেই অক্ষয় লেখেন, ‘স্যর, আপনি যদি অনুমতি দেন, আমি একটি প্রস্তাব দিতে চাই। এই প্রস্তাবে ভারতীয় রেলওয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অংশ হতে পারে। বিকল্প জ্বালানি ও কাঁচামালের সরবরাহ করেই তা সম্ভব হতে পারে।’ মাঝরাতের ওই ফ্লাইটে তাঁর ন্যাপকিন পৌঁছে যায় অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে। এর পরই ডাক আসে।


পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বিবৃতিতে বলেন, ভারতের বিভিন্ন অংশের কঠিন বর্জ্যকে ছত্তিশগড়ের রায়পুর, ওড়িশার রাজগঞ্জপুরসহ বিভিন্ন ক্লাস্টার এলাকায় পাঠানোর প্রস্তাব এসেছে। রেলওয়ের মাধ্যমে এই কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে অক্ষয়। রেলপথে খরচ কম বলেই এই প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন অক্ষয়।


আরও পড়ুন - Selfie Tips: সেলফি তুলতে দিতে হয় টাকা! পর্যটকদের থেকে অর্থ উপার্জনেই ধনী এই গ্রাম