নয়া দিল্লি: বেশিরভাগ ভারতীদের বাড়িতে পুজোর সময় ধূপকাঠি জ্বালানো একটি অন্যতম রীতি। এটি ঘরে সুবাস ছড়ায় এবং ইতিবাচক শক্তির অনুভূতি দেয়। ভারতের প্রতিবেশী দেশেও রয়েছে ধূপকাঠির গ্রাম। কীভাবে এই গ্রাম অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে শুধুমাত্র ধূপকাঠির কারণে, তা ভারী মজার। 


এই গ্রাম কোথায়? 


আমরা যে ধূপকাঠির গ্রামের কথা বলছি সেটি ভিয়েতনামে। এই গ্রামের নাম কাং ফু চাউ গ্রাম। এই গ্রামে গেলে সবখানে শুধু রঙিন ধূপকাঠি দেখতে পাবেন। এই ধূপকাঠি গ্রাম সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সেখানকার মানুষকে আর্থিকভাবেও শক্তিশালী করে তুলছে। এছাড়াও এই রঙিন ধূপকাঠিগুলো দূর-দূরান্তের পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করছে।


লাল, সবুজ, হলুদ ধূপকাঠি


ভারতীয় বাড়িতে পোড়ানো ধূপকাঠি প্রায়ই কালো রঙের হয় কিংবা চন্দনের। কিন্তু ভিয়েতনামের এই গ্রামে তৈরি ধূপকাঠিগুলো রঙিন। মূলত তিনটি রঙ রয়েছে। লাল, সবুজ এবং হলুদ। প্রকৃতপক্ষে, ভিয়েতনামে শুরু থেকেই এই রঙের ধূপকাঠির প্রবণতা রয়েছে। সেজন্য এই ধূপকাঠিগুলো এখানে প্রচুর বিক্রি হয়। এখানে আপনি বেশিরভাগ বাড়ির বাইরে ফাঁকা জমিতে এই ধূপকাঠিগুলির গুচ্ছগুলি শুকিয়ে দেখতে পাবেন।


সেলফির জন্য টাকা


জার্মান নিউজ ওয়েবসাইট ডি ডব্লিউ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গ্রামের মানুষ শুধু এই রঙিন ধূপকাঠিগুলো থেকে অর্থ উপার্জন করছে না, পর্যটকদের কাছ থেকেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। বিশেষ করে এখানকার লোকেরা এই ধূপকাঠি দিয়ে সেলফি তুলতে চায় এমন পর্যটকদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নেয়। এই পরিমাণ ৫০ হাজার ডং। যদি আমরা এটিকে ভারতীয় টাকায় রূপান্তর করি তাহলে এটি প্রায় ১৭০ টাকা হবে৷ তবে এখানে বিক্রি হওয়া ধূপকাঠির দাম খুবই কম। এই কারণেই এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও প্রচুর ধূপকাঠি কিনে নিয়ে যায়।                                                                                                       


আরও পড়ুন, ভারতের বুকেও আছে বারমুডা ট্র্যায়াঙ্গেল? কোন রহস্যঘেরা জায়গা এটি?



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে