নয়াদিল্লি: ১০৩ বছরে বিয়ে, তাও তৃতীয় বার! এমনই 'নিকাহ'-র সাক্ষী থাকলেন ভোপালের ইটওয়ারার বাসিন্দারা। পাত্র হাবিব নাজর আবার স্বাধীনতা সংগ্রামী। সব জেনে প্রস্তাবে আর না করেননি ৪৯ বছরের ফিরোজ জাহান।
বিশদে...
হাবিব-ফিরোজের বিয়ে হয়েছে গত বছর। তবে চলতি মাসেই সেই বিয়ের ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিও-য় দেখা যাচ্ছে, বিয়ের পর ফিরছেন 'নবদম্পতি।' সেই ক্লিপ নিয়েই হইচই। সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবিক, হাবিবের তৃতীয় বিয়ে এটি। প্রথমবার বিয়ে করেছিলেন মহারাষ্ট্রের নাসিকে। দ্বিতীয় বিয়ে হয় উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়ে। শতায়ু বৃদ্ধের কথায়, 'আমার ১০৩ বছর বয়স, স্ত্রী ৪৯ বছরের। প্রথম বার বিয়ে করেছিলাম নাসিকে। স্ত্রীর মৃত্যু হলে লখনৌয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করি। কিন্তু তিনিও পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যান। একা লাগছিল। তাই আবার বিয়ে করেছি।' ফিরোজেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন, একেবারে স্বেচ্ছায় এই সম্পর্কে রাজি হয়েছেন। কেউ কোনও রকম জোর খাটায়নি। তাঁর আরও দাবি, 'আমার স্বামী সব দিক থেকে সুস্থ। কোনও রকম রোগ নেই তাঁর।' ফিরোজের যুক্তি, শতায়ু স্বাধীনতা সংগ্রামীর দেখভাল করতেই এই সিদ্ধান্ত। যে ভিডিও ক্লিপ ঘিরে শিরোনামে এই দম্পতি, তাতে ক্যামেরায় থাকা ব্যক্তিকেও দুজনকে শুভেচ্ছা জানাতে শোনা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া...
দুজন মানুষ, যাঁরা সাহচর্যের তাগিদে একে অন্যের সঙ্গে থাকতে চাইছেন, তাঁদের কাছে যে বয়স কোনও বাধা নয়, সে কথা হাতেকলমে প্রমাণ করে দিয়েছেন হাবিব-ফিরোজ। পাড়াপ্রতিবেশিদের কেউ কেউ যে ভুরু কোঁচকাননি, তা নয়। বাঁকা চোখ, তির্যক হাসিও এসেছে। কিন্তু শতায়ু হাবিব ও পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই ফিরোজের মত স্পষ্ট। একসঙ্গে থাকার আর্জিই এখানে শেষ কথা, বয়স কোনও বাধা নয়। সোশ্য়াল মিডিয়াতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া। যদিও অনেকে এই সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। কারও কারও আবার মনে পড়ে যাচ্ছে, 'প্রেম গীত' ছবির সেই গান...'না উমর কি সীমা হো, না জন্মো কা হো বন্ধন..'। ছবির গল্পের সঙ্গে সরাসরি হয়তো হাবিব-ফিরোজের বাস্তব আখ্য়ানের মিল নেই, কিন্তু ভালোবেসে কাছে থাকার পথে যে কোনও বাধাকেই যে তুচ্ছ করার সম্ভব, সেটা পর্দার মতো ওঁরাও প্রমাণ করে দিয়েছেন।
তবে রিয়েল কখনও সখনও রিলকেও ছাপিয়ে যায়। যেমন, ছাপিয়ে গেলেন হাবিব-ফিরোজ।
আরও পড়ুন:মেডিক্যালে ভর্তিতে ১৪টি শংসাপত্র জাল, অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে কবুল রাজ্যের