রায়পুর: শিক্ষালাভের জন্য ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠান মা-বাবা। কিন্তু দেশের সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষার গুণমান নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠে গেল। ছত্তীসগঢ়ের এক স্কুলের বানানজ্ঞান দেখেই এই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। কারণ পড়ুয়াদের ইংরেজি পড়ানোর সময় তিনি যে বানান লেখেন ব্ল্যাকবোর্ডে, তা দেখে রীতিমতো শিউরে উঠছেন সকলে। (Teacher Spelling Error Video)
ছত্তীসগঢ়ের কোগবারের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিউরে ওঠার মতোই ভিডিও সামনে এসেছে। ওই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ক্লাস ভর্তি শিশুদের ইংরেজি পড়াচ্ছেন এক শিক্ষক। ব্ল্য়াকবোর্ডে লিখে লিখে বানান শেখাচ্ছেন সকলকে। কিন্তু সেই বানান দেখে চমকে গিয়েছেন সকলে। (Viral Video)
প্রথমে ব্ল্যাকবোর্ডে তিনটি হিন্দি শব্দ লেখেন ওই শিক্ষক, নাক, কান ও চোখ। ইংরেজিতে সেগুলিকে কী বলে, তা লিখতে গিয়ে গিয়ে হিমশিম খান তিনি। শেষ পর্যন্ত যা লেখেন, তা হল- নাক- Noge, কান- Eare এবং চোখ- Iey. নিজের ওই বানান জোরে জোরে পড়েও শোনান ওই শিক্ষক। পড়ুয়াদেরও জোরে জোরো ওই বানান উচ্চারণ করতে বলেন, যাতে তারা শিখতে পারে।
তবে অবাক হওয়ার পালা সেখানেই থামেনি। এর পর সপ্তাহের সাতটি দিনও ইংরেজিতে শেখাতে যান ওই শিক্ষক। কিন্তু শুক্রবারকে লেখেন Farday, শনিবারকে লেখেন Saterday, রবিবারকে লেখেন Sanday, সোমবারকে লেখেন Manday, মঙ্গলবারকে লেখেন Tusday, বুধবারকে লেখেন Wensday, বৃহস্পতিবারকে লেখেন Tusday. শিক্ষকের লেখা ওই ভুল বানানই আউড়ে যায় পড়ুয়ারা, তা খাতায় লিপিবদ্ধও করে। শুধু তাই নয়, ইংরেজিতে Mother, Father, Brotherm Sister বানানও ভুল লেখেন ওই শিক্ষক। তিনি লেখেন, Farder, Mader, Sester.
ছত্তীসগঢ়ের স্কুলের ওই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে, স্কুলটিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ৪২। সেখানে দু’জন শিক্ষক রয়েছেন। কিন্তু অভিভাবকদের দাবি, দু’জনের মধ্যে একজন, কমলেশ পান্ডো প্রায়শই মত্ত অবস্থায় স্কুলে ঢোকেন, ক্লাস চলাকালীন ঘুমান তিনি। অন্য জন, ভুল শিক্ষা দেন পড়ুয়াদের। বার বার শিক্ষা দফতর, স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। ভিডিওটি সামনে আসার পর ওই শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর।