Do You Know : ফ্লোরেন্সের পন্টে ভেচিওর কথা অনেকেরই জানা। ইতালির আর্নো নদীর উপর নির্মিত এই ব্রিজ এটি। ইতালির অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শহর ফ্লোরেন্স।রেনেসাঁর আঁতুড়ঘর। এখানে আর্নো নদীর উপর রয়েছে পন্টে ভেচিও সেতু । ইতালির শহরের মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো সেতু। এর বিশেষত্বই হল এই ব্রিজের উপরে সার দিয়ে সাজানো দোকান ও বাড়ির জন্য এই সেতু ব্যতিক্রমী।
ঠিক যেন ছবি !
তবে শুধু এটিই নয়, চিনে লিজিয়াং (China’s Chongqing Linshi ) নদীর উপর রয়েছে এমন একটি সেতু যার উপর ধীরে ধীরে মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে পরিকল্পনা মাফিক। রয়েছে দোকান। ঠিক যেন ছবি ! কোনও অপরিকল্পিত নির্মাণ নয়। প্রযুক্তগতভাবে খুবই উন্নত এই নির্মাণগুলি, দেখতেও বেশ !
কেন এমন সেতুর উপর বসতি ? অনেকের মনেই এই প্রশ্নটা জাগে। আসলে প্রশাসনের উদ্দেশ্য ছিল এমন কিছু করা যা দুনিয়ার মানুষের নজর কাড়ে, যাতে পর্যটক সমাগম হয়। আর পর্যটনে কেন্দ্রের সুবিধে পায় অঞ্চলটি। স্থানীয় সরকার এমন কিছু উদ্ভাবন করতে চেয়েছিল যাতে কৌতূহলী মানুষের নজর পড়ে এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করা যায় ।
প্রকৃতপক্ষে,এই সেতুর আশেপাশের এলাকাটি একটি ভ্রমণকেন্দ্র। এখানকার বসতিটি পশ্চিমি-শৈলীকে তুলে ধরে। সেই সঙ্গে রয়েছে চিনা শৈলির মিশেল। এখানে বাস করেন অনেকে।
কীভাবে সাজানো সেতু
বিচিত্র উপাদানে সজ্জিত হওয়া সত্ত্বেও, যেমন একটি স্কুল বাস বাতাসে ঝুলিয়ে রাখা , পুতুল এবং মূর্তি (একটি রিওর ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার মিনিয়েচারের প্রতিনিধিত্ব সহ), এই ধরনের একটি পর্যটন জেলা একটি বড় ব্যাপার ছিল না।
এই সেতুর উপর যে বাড়িগুলি রয়েছে, তা অত্যন্ত রং বেরঙের। ধূসর আকাশের ক্যানভাসে রঙিন বাড়িগুলি নজর কাড়তে বাধ্য। সেই সঙ্গে নানা অদ্ভূত জিনিস দিয়ে সাজানো এই সেতু। যেমন পরিত্যক্ত স্কুল বাস। আছে পুতুল, নানা স্ট্যাচু। Rio’s Christ এর প্রতিকৃতিও রয়েছে এই ব্রিজে।
আজ এই গ্রাম অনেকটাই পরিত্যক্ত। কেউ বড় একটা থাকে না। কিন্তু দেখার জায়গা হিসেবে এটি বেশ আকর্ষণীয়। ডেলিভারি বয়রা যখন স্কুটারে করে ব্রিজ পার করেন, তাঁরাও বাড়িগুলির উপরে ডিজাইন এঁকে দিয়ে যান।