নয়াদিল্লি: অগ্রিম বেতন না দেওয়ায় ২২ বছর বয়সী এক গুদাম কর্মী তাঁর মালিকের অফিস থেকে ৪.৫ লক্ষ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। এই নগদ চুরির অপরাধে (Delhi News) সেই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৯-২০ অগাস্ট মধ্যরাতে দিল্লির দ্বারকা জেলার নাজফগড়ে এই ঘটনাটি ঘটে। দ্বারকা পুলিশের চুরি-প্রতিরোধী দফতর আট ঘণ্টার মধ্যেই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে (Employee Loot) আটক করেছে।

পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে এই ব্যক্তির নাম মমতাজ, তাঁকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে নগদ ৩.১৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে নাজফগড়ের বাসিন্দা মুকুল জৈনের একটি গুদামঘর থেকে ৪.৫ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। আর এই ঘটনার পরেই মুকুল জৈন নামে সেই ব্যবসায়ী এফআইআর দায়ের করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি একটি প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে তাঁর পরিচয় গোপন করেছিলেন এবং নিরাপত্তা ক্যামেরা বন্ধ করে ফলস সিলিং দিয়ে অফিসে ঢোকেন।

মমতাজের ফোনের লোকেশন তাঁকে অপরাধস্থলের কাছে রাখার পরে গুদামে কর্মরত লোডার মমতাজের উপরেই সন্দেহ গিয়ে পড়ে। জেরা করার সময় পুলিশকে মমতাজ জানিয়েছে যে মুকুল জৈন অর্থাৎ তাঁর মালিকের কাছে তিনি আগাম বেতনের অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সেই আর্জি তাঁর মালিক নাকচ করে দেওয়ায় সে হতাশ হয়ে পড়েছিল। সহজে টাকা উপার্জন এবং তাঁর মালিককে একটা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই সে এই ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছে মমতাজ।

পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে যে মমতাজ সেই গুদামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে ভালভাবেই জানত। আশেপাশের কুকুরগুলি তাঁকে চিনত বলে কোনও হল্লা বাধায়নি তারাও। নিরাপত্তা ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়ে ফলস সিলিং দিয়ে অফিসে ঢোকে মমতাজ আর বিকাশ নামে তাঁর এক সহযোগীর সাহায্যে নগদ টাকা নিয়ে সে পালিয়ে যায়।

সম্প্রতি একটি বড়সড় ব্যাঙ্ক লুটের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে গত সপ্তাহে তেলেঙ্গানার চেন্নুরে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি শাখায় ভল্ট থেকে ১৩ কোটি টাকার সোনা আর ১ কোটি টাকা নগদ নিয়ে ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার পলাতক হন। চুরির ঘটনার দিন থেকেই তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না, এমনকী তাঁর ফোনও বন্ধ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে, তবে চুরির ঘটনা শুনে গ্রাহকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।