হাসপাতালের বিল পরিবারের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়, বেসরকারি হাসপাতালের বিল নিয়ে অনেকেই উদ্বেগে থাকে। আর আজকাল অনেকেই হাসপাতালের বিল নিয়ে চিন্তায় থাকেন। সম্প্রতি সুপার হেলথ ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা তথা অ্যাপোলোর প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ বরুণ দুবে জানিয়েছেন কীভাবে হাসপাতালগুলি অন্যায্যভাবে চার্জ নেয় রোগীদের থেকে। তিনি ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন যে কীভাবে একই ব্যক্তির আলাদা আলাদা অংশের এক্সরে-র জন্য আলাদা আলাদা খরচ ধার্য করা হয় যা নিতান্তই অযৌক্তিক। আবার বহির্বিভাগের রোগীর জন্য একরকম খরচ, আভ্যন্তরীণ রোগীর জন্য একরকম খরচের কাঠামো স্থির করা থাকে যা এক কথায় প্রতারণার সামিল।

Continues below advertisement

সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়োতে বরুণ দুবে বলেছেন যে একজন আউট পেশেন্টের জন্য এক্সরে খরচ যেখানে ৩০০০ টাকা হতে পারে, সেখানে একই পরীক্ষা হাসপাতালে ভর্তি আছেন এমন রোগীর ক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৭০০০ টাকা। প্রাইভেট স্যুটে রোগী থাকলে এর খরচ বেড়ে হতে পারে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মেশিন, টেকনিশিয়ান, পদ্ধতি সম্পূর্ণ এক, তা সত্ত্বেও কীভাবে আলাদা আলাদা চার্জ ধার্য করা হয় তাতে যুক্তি খুঁজে পান না বরুণ দুবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বুকের এক্সরে আর পায়ের এক্সরের দাম আলাদা হয় কেন ? মেশিন কীভাবে জানে যে সে পায়ের এক্সরে করছে নাকি বুকের। প্লেটের দামও তো একই থাকছে। একমাত্র হাসপাতালের নিজস্ব নিয়মেই এই দাম আলাদা হয়। কখনও কেউ এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। এই পোস্টের নিচে কমেন্টে প্রশংসার বন্যা বয়ে গিয়েছে। অনেক নেটিজেন বরুণ দুবের কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। একজন কমেন্টে লিখেছেন, ‘এমবিএরা যখন হাসপাতাল চালায় তখন এই ঘটনা ঘটে, তাদের সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করতে বলা হয়। তারা সংখ্যা নিয়ে কাজ করে, কোনও আবেগ নিয়ে নয়।’

Continues below advertisement

আবার অন্য একজন কমেন্টে লিখছেন যে তিনি গর্বিত এতদিনে কেউ একজন অন্তত এই সত্য জনগণের সামনে তুলে আনলেন। জনৈক নেটিজেন ভিডিয়ো পোস্টের নিচে কমেন্টে লেখেন, “যখন আপনি কোনও গর্ভবতী মহিলার আলট্রাসাউন্ড করাতে যান তখন যমজ সন্তান থাকলে চার্জ দ্বিগুণ হয়ে যায়। জিজ্ঞেস করলে বলবে যমজ সেই জন্য খরচ বেশি। একই কাজ একই প্রক্রিয়া ঘটছে একটি শিশুর ক্ষেত্রেও, সেখানে যমজ সন্তানের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কিছু না থাকা সত্ত্বেও খরচ বেশি হবে কেন ?”