কলকাতা: ওইটুকু দরজা (door) দিয়ে অতবড় শরীরটা (gentle giant) বেরোনো সম্ভব? চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতেন না অনেকে। কিন্তু এখন অবিশ্বাসের উপায় নেই। খালি চোখে দেখেননি ঠিকই, কিন্তু ভিডিও-তে (video) যা ধরা পড়েছে সেই বা কম কী? একেবারে সাদামাটা একটা বাড়ির দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসছে বিশাল হাতি (elephant)। মানুষের ব্যবহারের জন্য তৈরি দরজা দিয়ে যে হাতিও যেতে পারে, ভিডিওটি না দেখলে একবাক্যে 'ডাহা মিথ্যে' উড়িয়ে দিতেন যে কেউ।
অবাক ঘটনা...
ভিডিওটি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন সুশান্ত নন্দা নামে ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের এক অফিসার। তবে কোথাকার ভিডিও, কবে তোলা সে সব কিছু লেখেননি। শুধু কয়েক লাইনের ক্যাপশন। তাতে লেখা, 'পছন্দের জিনিস পেতে এসব কোনও বাধা-ই নয়। মুখরোচক খাবার সাঁটিয়ে বেরোনোর পথে সামান্য মেহনত করছেন উনি (পড়ুন হাতি)। কুকুর-সহ যে কোনও স্তন্যপায়ী প্রাণীদের থেকে ওদের ঘ্রাণশক্তি অনেক জোরাল। কয়েক মাইল দূর থেকে ওরা খাবারের গন্ধ পায়।' ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, একতলা একটি বাড়ির দরজা দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করছে হাতিটি। তার দেহের তুলনায় স্বাভাবিক ভেবেই আড়ে-বহরে ছোট দরজার ফ্রেম। কিন্তু তার পরও চেষ্টার ত্রুটি নেই। সম্ভবত ওই বাড়ির ভিতরে মুখরোচক কোনও খাবারের সন্ধানে ঢুকেছিল সে। কী ভাবে ঢুকেছিল সেটাও একই রকম আলোচনার বিষয়। তবে দরজা দিয়ে বেরোনোর মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি হওয়ার পর থেকে তুমুল শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভাইরাল গজরাজ...
ওই আইএফএস অফিসারের ট্য়ুইটার অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট হওয়ার পর থেকেই লাইক ও কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। হইহই করে বেড়েছে ভিউজ। এক ট্যুইটারেট্টি যেমন লেখেন, 'অকারণে যাতে দরজাটির কোনও ক্ষতি না হয়, বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে দিকেও সে খেয়াল রেখেছে। অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও শান্ত।' আর এক নেটিজেনের কমেন্ট, 'হয়তো আখের গন্ধ পেয়েছিল। মিষ্টি ও অত্যন্ত বুদ্ধিমান এই প্রাণীগুলোর অন্যতম প্রিয় খাবার আখ।' আর এক জনের আবার কৌতূহল, 'কী খাবার খেতে ও এত কষ্ট করল, জানতে ইচ্ছা করছে।' প্রসঙ্গত, হাতি নিয়ে ভিডিও মাঝেমধ্যেই ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত গণেশ চতুর্থীতেই যেমন একটি ভিডিও সাড়া ফেলেছিল ট্যুইটারে। তাতে দেখা যায়, কোলে সন্তান নিয়ে এক তরুণী মা সামনে দাঁড়ানো বিশাল হাতিটির সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছেন। ঈশ্বরের সামনে যেমন নতজানু হন ভক্তরা, তেমনই খানিকটা। অবাক কাণ্ড! হাতিটিও শুঁড় দিলে তরুণীর মাথায় ঠেকিয়ে দেয়। যেন আশীর্বাদ দিচ্ছে। গণেশ চতুর্থীর দিন ওই ঘটনা ঘটনায় অনেকেই বিষয়টি নিয়ে উৎসাহী হয়ে পড়েছিলেন। বাকিরা আবার বিষয়টিকে নিছক মজার ঘটনা হিসেবে দেখেন।
আরও পড়ুন:দলীয় বিধায়ককে 'বাধা', অবরোধস্থলে এসে পড়া তৃণমূলী প্রধানকে মারধর বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের